দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মানবনন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদার কর্মসূচি পালন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলার ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ সহকারী শিক্ষক মানবন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা বলছেন ‘১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার’ স্লোগানে ১২তম গ্রেড প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের করতে হবে । এই সময় বিভিন্ন শ্লোগানে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দেখা যায় শিক্ষককে ।
বাজিতপুর সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপজেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব রাজীব আহম্মেদের নেতৃত্বে সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই পে-স্কেলেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক সহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড, এইচএসসি পাস করে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা ১০ম গ্রেডে (প্রস্তাবিত) নিয়োগ পেয়ে থাকলেও সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করে ১৩তম গ্রেডে এযাবৎ কাল দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাদের একমাত্র দাবি অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কর্মচারী যদি ১০ম গ্রেড পায় তাহলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পাবেনা কেন? এ নিয়ে শিক্ষকরা বলেন, তাদের দাবী বাস্তবায়ন না হলে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে মানবন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
গতকাল বিকাল ৫টার দিকে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারশিদ বিন এনাম বরাবরে সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক ফজলে এলাহী, মাসুদ রানা, মোবারক হোসেন, শারমীন, তোফাজ্জল, ইমরান, শাহ পরান, ইকবাল আলী প্রমুখ।