নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির নামে বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘন, সামাজিক নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি), ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, আইডিইবি, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ. এ. মামুন এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপিসহ কয়েকটি দল জনগণের আস্থা হারিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির আড়ালে নিয়মিত নাশকতা চালাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মত অগণতান্ত্রিক দাবিতে আন্দোলনের নামে পুলিশ হত্যা, শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যাসহ অগ্নিসন্ত্রাস পরিহার করে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোকে সুস্থ রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। জাতিসংঘ, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ পৃথিবীর সব মানবাধিকার সংস্থার প্রতি বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায় বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) বিবৃতি দিয়ে বলেছে, নির্বাচন বানচালের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে মাত্র এক মাসের মধ্যে ২৮০টির বেশি যানবাহন ধ্বংস, ৩টি রেল নাশকতা, ৩০টি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ এবং ৩০০টিরও বেশি স্থাপনা ভাংচুর করার কথা জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এসবের মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখন শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বিশ্ব রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে সংস্থাটি বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোর নাশকতার বিরুদ্ধে পৃথিবীর সব মানবাধিকার সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
একই দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, আইডিইবি। অবরোধ-হরতালের নামে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে সাধারণ কৃষক-শ্রমিক, যার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে আইডিইবি। প্রতিষ্ঠানটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এসব নাশকতার ফলে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আইডিইবি-র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি একেএমএ হামিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম। এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব আশিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনুর।