দৈ. কি.ডেস্ক : ছুটি কাটাচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইউভানের স্কুলে এখন গরমের ছুটি, আর সেই সুযোগেই বেরিয়ে পড়লেন ঘুরতে। গরমে পুলে ঝড় তুলল গোটা পরিবার। রাজ-শুভশ্রী আর ইউভানের ছুটি ছুটি মুডের দেখা মিললেও, নেই ইয়ালিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বৃহস্পতিবারই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রাজ আর ইউভানের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। বাবা-ছেলের আদুর গা, রাজের চোখে কালো ফ্রেমের সানগ্লাস। ইউভানের মুখ ভরা হাসি। আর পরে একটি ডাবের ছবি দিয়েছিলেন ইনস্টা স্টোরিতে। কিন্তু নিজেকে আড়ালেই রাখেন শুভশ্রী।
এরপর শুক্রবার সকাল সকাল অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন টালিউডের সুন্দরী নায়িকা। দুটি ছবি শেয়ার করলেন। প্রথমটিতে মায়ের কোলে ইভউান, আর সঙ্গে রাজ। আর দ্বিতীয় সেলফিটি তোলা হয়েছে রাজের সঙ্গে। কালো বিকিনি পরেছেন তিনি। তার চোখেও কালো ফ্রেমের সানগ্লাস। সুইমিং পুলের ধারে তোলা হয়েছে ছবি দুটি। ইয়ালিনি আছে কি নেই এ ট্রিপে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মেয়ে ইয়ালিনির জন্ম দেন শুভশ্রী। কয়েক মাসের মধ্যেই প্রেগন্যান্সির বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। গায়ে তুলে নিলেন বিকিনিও। অবশ্য প্রেগন্যান্সির সময়তেও বেবিবাম্পসহ বিকিনি পরা ছবিতে ঝড় তুলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী ঘোষণা করার পরই গিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। এমনকী, মাত্র কয়েকমাসের ইয়ালিনিকে নিয়ে ঘুরে এসেছিলেন পাটায়াতে।
কাজের জন্য এখন বড়ই ব্যস্ত শুভশ্রী আর রাজ। বাবলি মুক্তির অপেক্ষায়। বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজ। আর তাতে নাম ভূমিকায় শুভশ্রী। সঙ্গে রয়েছেন আবির ও সোরসেনী। জুলাইতে ছবির প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা। ভ্যাকেশন থেকে ফিরেই ছবির প্রচারে লেগে পড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে রাজ বহুদিন পর কাজ করতে চলেছেন এসভিএফের সঙ্গেও। সেই সিনেমায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অহনা দত্ত, অনসূয়া মজুমদার। এ সিনেমায় দেখা মিলবে শুভশ্রীরও। সঙ্গে দেবালয় ভট্টাচার্যের পরের ছবিতেও নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে শুভশ্রীকে।
বিয়ে-মাতৃত্ব যে ক্যারিয়ারে কোনো খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে না তা প্রমাণ করেছেন শুভশ্রী। নিসন্দেহে এক বড় মাইলস্টোন তৈরি করেছেন। ইউভান হওয়ার সময় করোনা চলায় ছিল অনেক বাধানিষেধ। তবে ইয়ালিনির সময় প্রেগন্যান্সির শেষ দিন অবধি চুটিয়ে কাজ করেছেন। জিম থেকে শুটিং, ছেলেকে স্কুলে দেওয়া-নেওয়া, সব করেছেন। আর মেয়ের জন্মের মাস দেড়েকের মধ্যেই চলে গিয়েছিলেন উত্তর বঙ্গ বাবলীর কাজে।