মহান বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করতে শীতের সন্ধ্যায় পিঠা, গান, নৃত্য ও যাত্রাপালায় মজে উঠেলেন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে জাস্টিস শাহাবুদ্দিন পার্কে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজন করা হয় 'বিজয় সন্ধ্যা'।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও খাবারের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিতে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের পাশাপাশি যোগ দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
শীতের এই সন্ধ্যায় মুখরোচক খাবার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন অতিথিরা। নকশি পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ডাল রুটি, মালপোয়াসহ নানাপদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। ছিল ঘিয়ে ভাজা গরম রেশমি জিলাপি।
একদিকে দেশীয় খাবার অন্যদিকে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব উপজীব্য করে যাত্রাপালা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাদু প্রদর্শন করেন প্রেমা অনন্যা। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্রনায়ক রিয়াজ এবং সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আকতার।
চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির ভাইস প্রেডিডেন্ট ও চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছিলাম। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন শৈল্পিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং উদযাপনের একটি সন্ধ্যা হিসেবে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য , খাবারগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
পিঠা উৎসবের পাশাপাশি বিখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র, মাইম ফেস্ট এবং নকশিকথা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।