দৈ. কি.ডেস্ক : আবারো সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা, যদিও এবার শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ, তবে শেষটা ভালো হয়নি। বাংলাদেশের স্বল্প লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ঝড় তুলে এগিয়ে যায় ভারত। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে আর শুরুই হলো না। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারে টাইগ্রেসরা। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ১১৯ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৫.২ ওভারে ভারত ৪৭ রান তুললে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বৃষ্টি আর না থামলে বৃষ্টি আইনে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এই হারে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আগামীকাল। রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত।
ওপেনার শেফালী ভার্মাকে অধিনায়ক জ্যোতির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পেসার মারুফা আক্তার। এরপর তিন নম্বরে নামা দয়ালান হেমলতাকেও শুরুতে ভোগান মারুফা। তবে এরপর আচমকাই তাণ্ডব চালানো শুরু করেন হেমলতা। কোনো স্বাগতিক বোলারকেই পাত্তা দেননি তিনি। ঝড় তুলে ফিফটির পথেই ছিলেন হেমলতা, ৫.২ ওভারের সময় নামে বৃষ্টি। তখন ভারতের সংগ্রহ ৪৭ রান আর হেমলতার ২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১। এরপর আর খেলা হয়নি। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত ফেরেন দিলারা আক্তার। সোবহানাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪টি চারে ১৫ বলে ১৯ রান করেন তিনি। আগের ম্যাচে ফিফটি করা জ্যোতি এদিন ফেরেন শুরুতেই। ৭ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। ৬৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন মুর্শিদা খাতুন। বৃষ্টি বাংলাদেশের ইনিংসেও নেমেছিল, কিন্তু তাতে কোনো ওভার কাটা যায়নি। বৃষ্টির পর মুর্শিদার সঙ্গে তার ৩২ রানের জুটি গড়েন রিতু মনি। এরপর ডেথ ওভারে ১৬ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৪ উইকেট। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মুর্শিদা।