দৈ. কি.ডেস্ক : প্রত্যেক হজযাত্রীকেই প্রায় পুরো হজের সময়েই শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয়। এসময় ব্যথার রোগীরা যেসব প্রস্তুতি নেবেন তার মধ্যে রয়েছে- যারা তীব্র কোমর হাঁটু বা পায়ের গোড়ালি ব্যথায় ভুগছেন তারা ফিজিওথেরাপি নিয়ে দ্রুত ব্যথা কমানোর চেষ্টা করুন, প্রয়োজনে দিনে দুবার ফিজিওথেরাপি নেওয়া যেতে পারে।
ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ প্রদর্শিত বিশেষায়িত ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করবেন। হজরত অবস্থায়ও ব্যায়াম করা থেকে বিরত হবেন না। যাদের ব্যথা তীব্রতর তারা হাঁটু ব্যথার জন্য নি-ক্যাপ ও কোমর ব্যথার জন্য লাম্বার কর্সেট বা কোমরের বেল্ট সঙ্গে নিতে পারেন, প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করবেন। তবে কর্সেট সবসময় ব্যবহার না করাই উত্তম। পায়ের গোড়ালি ব্যথার রোগীরা হিল কুশন ও বিশেষ ধরনের নরম জুতা ব্যবহার করবেন।
যাদের গরম শেক ভালো লাগে তারা হট ওয়াটার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন। সাময়িক তীব্র ব্যথা কমাতে এসিক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্ত চাপের রোগীরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা ব্যথার ওষুধ যত কম সেবন করবেন ততই ভালো।
যারা দীর্ঘদীন ধরে ব্যথায় ভুগছেন তারা সাময়িকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য ইলেক্ট্রোথেরাপি নিতে পারেন। তবে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামগুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে এবং নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে। তবে সবকিছুর মূলে রয়েছে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয়।