দৈ. কি.ডেস্ক : শফিক বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ভাতিজার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দুইবার আমাদের মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করেছে। ফের হামলা ও মারধরের আতঙ্কে রয়েছে দুই পরিবার।’
কিশোরগঞ্জ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই চাচাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণ ও তার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত তরুণের নাম মাজহারুল হক আকিব (২৪), যিনি সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
শহরের গৌরাঙ্গ বাজারের একটি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে ভাতিজার ‘নির্যাতন’ থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী দাবিদার মঞ্জুরুল হক শফিক।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘মাজহারুল হক আকিব ও তার লোকজন আমাকে যেভাবে মারপিট করেছে এভাবে মানুষ মানুষকে মারে না।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘নিজ বাড়ি মধুরদিয়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও প্রভাবশালী ভাতিজার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছে না। ভাতিজার এমন অত্যাচারে আমার আরেক ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’
শফিক বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ভাতিজার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দুইবার আমাদের মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করেছে। ফের হামলা ও মারধরের আতঙ্কে রয়েছে দুই পরিবার।’
সংবাদ সম্মেলনে শফিক জানান, তিনি বিএ পাস করে কৃষক ও সার্ভেয়ার (আমিন) হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সম্প্রতি তার প্রয়াত বাবা শামসুল হকের সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে চাইলে ভাই আমিনুল ইসলাম বাবুল ও ভাতিজা মাজহারুল হক আকিবের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে ভাতিজা মাজহারুল হক আকিব খুন-জখমের হুমকি দেন।
এ ব্যক্তির অভিযোগ, গত ১৮ আগস্ট রাতে মাজহারুল হক আকিবের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার বসতঘরের দরজা ভেঙে জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার স্ত্রীকেও মারপিট করে সন্ত্রাসীরা।
মামলার পর থেকে ভাতিজা তাকে আবারও খুন-জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান শফিক।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকের ভাই রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবেশী বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তরুণ মাজহারুল হক আকিবের ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।