ডেস্ক:সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। এমনিতে ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় এখানে মুসলিম নির্যাতন বেশি হয়। এর বাইরে মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণায় মুসলিমদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রিট করেন মুসলিম নেতারা।
এদিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের মাদরাসা শিক্ষা আইন-সংক্রান্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অভিমত জানতে তাদের নোটিশ দিয়েছেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার রায়ে বলেছেন, ‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ওই আইন স্থগিত করে, শিক্ষার্থীদের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিতের নির্দেশ দেয়। তবে এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে স্থানান্তর ন্যায্য নয়।’
আরো বলেন, যদি পিআইএলের উদ্দেশ্য থাকে মাদরাসায় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং ভাষা শেখানো হবে, তাহলে মাদরাসা আইন ২০০৪ বাতিল করে এই উদ্দেশ্য অর্জন করা যাবে না।
মুলায়ম সিং যাদব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৪ সালে মাদরাসা বোর্ড শিক্ষা আইন চালু করেছিলেন। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপিঘনিষ্ঠ জনৈক অংশুমান সিং রাঠোর। তার দাবি ছিল, ওই আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক।