ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), শহরের নিউটাউন এলাকার আরাধ্য দে, বেলাল দে, রূপা দে (৩৫) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকাডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে গেলে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ হন। আজ সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।