দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১১টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের পঞ্চবটি কাঠেরপুল এলাকার সঙ্গে জগন্নাথপুর গাইনহাটি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে গাইনহাটি এলাকার যুবকদের সঙ্গে পঞ্চবটি এলাকার যুবকদের মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক ফাঁকে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। দ্বিতীয় দফায় তিনদিন আগে আবারো একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার শহরের চক বাজারে শান্ত ও এমদাদুলকে মারধর করে গাইনহাটির লোকজন। ওইদিন রাতে দুই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দ শনিবার সকাল ১০টায় বিষয়টি মীমাংসা করতে সময় দিলেও পরে গাইনহাটির পক্ষ থেকে মীমাংসা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেই। সকাল ১১টায় উভয়পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, টেটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১১টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে দুইটি অটো গ্যারেজ লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। এ ছাড়া বেলা ১২টার দিকে গাইনহাটির লোকজন নাদিম নামে এক ব্যক্তির মুরগির খামার লুটপাট করে। এতে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চবটি এলাকার ফারুক মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ওমর মোহাম্মদ অপু জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ভৈরব বাজারেও তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে আহত করেছে। গাইনহাটির মানুষজন আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে আসে। আমরা শালিসী দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করতে চেয়েছিলাম। তারা হঠাৎ করেই শনিবার সকালে দরবার হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। হঠাৎ তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ২০/২৫ জন আহত হয়েছে।