দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের ১৫ জনকে ওর্য়াক পারমিট ও জব অফার লেটারসহ ইউরোপের দেশ কানাডা ও সার্বিয়া পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা করে তিন ধাপে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় এপ্লিকেশন সেন্টার নামে ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানের এমডি এস এম আজিজুল হক ও তার স্রী সাফরিন হক এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মামুনুর রহমান ও অন্যান্য। ৮ জানুয়ারী বুধবার সকাল ১১টায় ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর নতুন বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
টাকা পাসপোর্ট ফেরত ও প্রতারকদের গ্রেফতারের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মামুনুর রহমানের মামা তৌফিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০২৩ সালে আগষ্ট মাসে আমার বাগিনা ইতালি প্রবাসী আসরাফুলের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার নামের ট্রাভেলস এর মালিক আজিজুল হক ও তার স্রী সাফরিন হকের সঙ্গে পরিচয় হয়।
তাদের সাথে কথা হলে ভুক্তভোগীদের প্রথমে কানাডার জন্য ওয়ার্ক পারমিট জব অফার লেটার ভিসা প্রদান করেন। আমার ভাগিনা ছাড়াও একই গ্রামের রুস্তম আলী ও ইব্রাহিমের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়ে পাসপোর্ট দিয়ে ভারতীয় ভিসা সংযোজন করে পরে আমার ভাগিনার কাছ থেকে কানাডা নেওয়ার কথা বলে আর ১০ লাখ টাকা নেন।
টাকাগুলো নিয়ে গতবছর ১২ মার্চ ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৭ জনকে ভারত ও নেপাল নিয়ে যায়। ভিসা জালিয়াতির কারনে ভারত থেকে পর্তুগালের ভিসা না লাগিয়ে তাদেরকে ২৮ জুন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।
এ ছাড়াও শ্রীনগর গ্রামের তারেক মিয়া ,,,অন্তর মিয়া ,,মোবারক মিয়া ও কিবরু মিয়াকে সার্বিয়া নেওয়ার কথা বলে অভিযুক্তরা তাদের কাছ থেকে আর ৩৮ লাখ টাকা নেন।
প্রতারকচক্র দুই দেশে পাঠানোর কথা বলে সর্বমোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। দেশে এসে ভুক্তভোগীরা ঢাকার শাহজাদপুর ও গুলশানে তাদের অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পায়।পরর্বতীতে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয় ভুক্তভোগীরা,,পরিশেষে কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আমার ভাগিনা মামুনুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে বৈদিশিক কর্মসংস্থান ও আদিবাসী আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ৩৫৪০/২৪ বর্তমান মামলাটি সিআইডিতে তদন্তেধীন।
অভিযুক্ত আজিজুলের স্রী মুটোফোনে সাফরিন হক বলেন আমার স্বামী ট্রাভেল এজেন্সি চালায়। বিদেশ পাঠানোর জন্য টাকা নিয়ে থাকতে পারে মামলার বিষয়টিও অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগীদের বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফরিদ আহমেদ বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর কানাডার ভিসাগুলো যাচাই-বাছাই করতে দেওয়া হয়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবো। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাড়াও স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।