দৈ. কি.ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় ১৬ দিন পর মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার।
শুক্রবার সকালে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার বাদী ভৈরব থানার উপপরিদর্শক কামাল হোসেন।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভৈরব থানায় দুই দফায় হামলা হয়। সর্বশেষ হামলা হয় ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর। ওই দিন আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়ে থানার বেশির ভাগ অস্ত্র লুট করে নিয়ে যান। একই সঙ্গে পুরো ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানার সামনে থাকা অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অসংখ্য মোটরসাইকেল লুট হয়। সব আসবাব, ওয়্যারলেস, কম্পিউটার ও নথি পুড়ে যায়। থানার ভেতরে পুলিশ সদস্যদের আবাসিক ভবনে আগুন দেওয়া হয়। হামলার পর থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যান। ওই দিন থেকে থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এজাহারে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। মামলাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৯ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় স্থানীয় স্টেডিয়ামে থানার অস্থায়ী কার্যক্রম শুরু হয়। পরে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভৈরব শাখার সদস্যরা থানার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু আসবাব কিনে দেন। বুধবার থেকে আগের ভবনে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সফিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য অস্ত্র লুট হয়েছে। উপকরণ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।