দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসল্লা গ্রামে প্রায় শত বছরের উন্মুক্ত কবরস্থান জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসী দাবি করেছেন, এই কবরস্থানটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দাফনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তবে সম্প্রতি এটি দখল করে কলাবাগান করা হয়েছে।এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,২০০৪ সালে আনোয়ার হোসেন গংরা কটিয়াদী পৌরসভার নামে উন্মুক্ত কবরস্থান হিসেবে ৫.৯৩ শতাংশ জমি দান করেন। দলিল নম্বর ১৩২৮ অনুসারে এটি সকলের দাফনের জন্য উন্মুক্ত কবরস্থান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল।সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ তার মেয়াদকালে কবরস্থানের সংস্কার কাজ করেন এবং এটি পৌর কবরস্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেন।
হালুয়াপাড়া গ্রামের জজ মিয়া, সবুজ মিয়া এবং এরশাদ মিয়া জানান, তাদের বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজন এই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এটি বহু বছর ধরে উন্মুক্ত কবরস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে মসল্লা গ্রামের মোস্তফা মিয়া বর্তমানে জবরদখল করে সেখানে কলাবাগান গড়ে তুলেছেন। তারা সরকারের কাছে দ্রুত সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।জমিদাতা আনোয়ার হোসেন গংরা জানান, তারা জমিটি দাফনের জন্য জনগণের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে মোস্তফা গংরা এটি জবরদখল করেছেন। তারা এই অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এ বিষয়ে কটিয়াদী পৌর প্রশাসক লাবনী আক্তার তারানা জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এলাকাবাসীর আশা, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কবরস্থানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।