দৈ. কি.ডেস্ক : শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে ‘ব্যাপক অত্যাচার’ হচ্ছে বলে যেসব ভুয়া পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয়েছিল বলে ফ্যাক্ট-চেকাররা নিশ্চিত করেছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিশেষ করে ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে আগ্রাসী মিডিয়া প্রচারণার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দুদেশের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ক্ষতিকর।’ সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত সহিংসতা নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিন্দি ও উর্দু মুখপাত্র এবং লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর মার্গারেট ম্যাকলিওড। শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্গারেট ম্যাকলিওড বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, অঞ্চলের প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ তার অংশীজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের এ নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোনো আইনজীবী তার পাশে দাঁড়াননি। কেননা তার আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে যারা আটক রয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বজায় রেখে আচরণ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি এবং অব্যাহত জোর দিচ্ছি।