বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমার সীমান্তে সোমবার সকাল থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে সীমান্ত ঘেঁষা ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক ও বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব স্কুল আপাতত ১ দিন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। গোলাগুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুই ওই সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘুমধুমের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকেই মিয়ানমারের ভেতরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার খুব কাছাকাছি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিম কুলে মিয়ানমারের ভেতরে সকাল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজের কারণে এলাকার লোকজনকে সতর্কতা বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনি বলেন, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।