মার্চের ফিফা উইন্ডোতে দুই ম্যাচের আগে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। ১লা মার্চ শিষ্যদের নিয়ে রওয়ানা হবেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। চার পাঁচ দিনের মধ্যেই দল ঘোষনা করবেন তিনি। তবে দল ঘোষণার আগে উঠতি তারকা ফুটবলার শেখ মোরসালিনকে নিয়ে শংকিত কোচ। কারণ খানিকটা ইনজুরিতে রয়েছেন তিনি। এ জন্য কিংসের হয়ে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলেও খেলতে পারছেন না মোরসালিন। ইনজুরিতে পড়া প্রিয় শিষ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সামনে আকস্মিক এক সাক্ষাতকারে কাবরেরা বলেন, ‘আমি মোরসালিনের বিষয়টি জানি। যদিও দুভার্গ্যজনকভাবে সে ইনজুরিতে। আমাদের দলে কোনো স্পেশাল খেলোয়াড়ও নেই। কেউ না থাকলে, অন্য কেউ কিভাবে আসবে এবং পারফর্ম করবে।’ জাতীয় দল সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি সময় অনুশীলন করার পর ১৭ মার্চ কুয়েতে রওনা হবে ফিলিস্তনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে।
২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। হোম ম্যাচ ২৬ মার্চ ঢাকায়।
এখনো প্রায় এক মাস সময় হাতে রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সৌদি আরবে প্রাথমিক ক্যাম্পে মোরসালিন দলের সঙ্গে থাকছে কিনা? স্প্যানিশ কোচের উত্তর, ‘কোচ হাভিয়ের কাবরেরা উত্তরে সীমিত সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন, ‘এখনো নিশ্চিত নয়, তবে কঠিন তার জন্য।’ ২০২৩ সালে জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক হয় মোরসালিনের। ভারতের বাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই গোল করে আলোচনায় আসেন। ঢাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সিরিজেও গোল করেছেন। এরপর বসুন্ধরা কিংসের হয়ে মদ কান্ডের জন্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই ম্যাচে থাকতে পারেননি। ক্লাব থেকে শাস্তি প্রত্যাহারের পর আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন এবং লেবাননের বিপক্ষে তার গোলেই বাংলাদেশ একটি পয়েন্ট পায়। প্রাথমিক দল নিয়ে স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের বলেন,‘ আমাদের দল সংখ্যা ৩০ জনের কমই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখনো দল চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা রয়েছে শুক্র ও শনিবার।
এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ লীগে তরুন কিছু ফুটবলারের খেলা ভালো লেগেছে জানিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘ তরুন কয়েকজন খেলোয়াড়ের উন্নতি দেখে আমরা খুবই খুশি। তাদের কেউ কেউ অবশ্যই তালিকায় থাকবে, কাউকে কাউকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে, তবে তাদের উন্নতির প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। দলে অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সী কয়েকজন থাকবে।’ সৌদি আরবে প্রস্তুতি খেলার বিষয়ে কাবরেরা বলেন, ‘কিছু দলও সৌদি আরবে ট্রেনিং করছে, আমরা কয়েকটা দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। দেখা যাক, তাদের সাথে কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যায় কিনা। কমপক্ষে আমরা দুটো ম্যাচ খেলতে চাই। এগুলো অফিসিয়াল নয়, প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। যদি জাতীয় দলগুলোর সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে খেলব।’ প্রতিপক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন এশিয়ান কাপ খুবই ভালো এবং সফল সময় কাটিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংয়ের বিপক্ষে তারা ভালো করেছে। কাতারের বিপক্ষেও বিরতির আগ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে লড়াই করেছে। আমরা ফিলিস্মিনের মান এবং তাদের শক্তি কতটা, সে সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। কিন্তু আমরাও যদি নিজেদের সেরা পর্যায়ে থাকি, তাহলে আমরা তাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারি।