ময়লা-আবর্জনা আর কচুরিপানার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলে এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী। নদীটি লেকে পরিণত হওয়ার পর এটি এক বদ্ধ জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। পানি প্রবাহ না থাকায় লেকের পানির দুর্গন্ধে দুপাশের বাসিন্দাদের জীবন অতীষ্ঠ করে তুলেছে।
এক দিকে পানি প্রবাহ না থাকা ও লেক জুড়ে জমাট কচুরীপানার কারণে এটি এখন পরিণত হয়েছে মশার নিরাপদ প্রজনন কেন্দ্রে। এখান থেকে জন্ম নেয়া কোটি কেটি মশা শহরময় ছড়িয়ে পড়ায় মশার উৎপাতে নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ।
নরসুন্দা নদী প্রকল্পে অনেক লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে এবং খননের পর নদীটি ময়লা আর কচুরিপানার ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। এছাড়াও নদীর পাড় সংলগ্ন অনেক জমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ(এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথ উদ্যোগে নদী খনন প্রকপ্লের কাজটি সম্পাদন করে। প্রকল্পের কাজ টি অসমাপ্ত রেখেই শেষ হয় ২০১৬ সালে। নরসুন্দা নদী খননের পর পানির প্রবাহ না থাকায় কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। যার ফলে নদীটি নাব্যতা হারিয়ে ময়লা আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্রোত না থাকায় নদীর পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি থেকে রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে।