আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য-কানাডার স্যাংশন তালিকাতেও নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির নাম। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিশ্বের ৪৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। একই ইস্যুতে কানাডা সরকার সাত ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে এই দুই দেশেরর নিষেজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।
এরআগে যুক্তরাষ্ট্র ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেয়। সেই তালিকাতেও ছিলনা কোনো বাংলাদেশির নাম।
মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমন্বিত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে পদদলিত করে—বিশ্বের কোথাও এমন অপরাধী ও নিপীড়ক সরকারকে তাঁরা বরদাশত করবেন না।
ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে দিচ্ছেন যে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পর যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা নিরলসভাবে তাদের পিছু নেবে, যারা মানুষের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করবে।
যুক্তরাজ্য-ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেলারুশের বিচার বিভাগের ১৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটররাও আছেন।
যুক্তরাজ্যে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইরানের আছেন পাঁচ ব্যক্তি। হিজাব আইন আরোপ ও প্রয়োগ করার জন্য তাঁরা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে মানব পাচারের জন্য নয়জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
কানাডা সরকার চেচনিয়ায় এলজিবিটিকিউ অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী রাশিয়ার চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া তারা মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।