ঢাকা১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজনীতির ভালোমন্দ, রাজনীতির সুদিন

admin
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বজিৎ দত্ত

 

নিজেদের ভালো কে না চাই? প্রবাদ আছে, পাগলও নিজের ভালো বোঝে। যদি তাই হয়, রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নিজের এবং জনগণের ভালো বুঝবে কবে? হরতাল, অবরোধ আবারও অবরোধ এবং টানা অবরোধে মোটামুটি নাকাল করে দিয়েছে দেশের জনগণকে। অর্থনৈতিক টানাপড়েন চলছিল অনেকদিন ধরে, সেই অর্থনৈতিক টানাপড়েনের আগুনে ঘি ঢেলেছে এই হরতাল, অবরোধ বা আবারও অবরোধ।

 

প্রশ্ন হলো, কেন এমন হচ্ছে? রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় দুই দলের কেউই ছাড় দেওয়ার মানসিকতায় নেই। কথা সত্য। তাহলে ছাড় দিচ্ছে কে? দেশ এগিয়ে নিচ্ছে কে? বা দেশ আগাচ্ছে কীভাবে?

 

দেশের প্রগতি চিন্তার মানুষেরা বলছেন, দেশে সুশাসন নেই, তাই দেশে অরাজকতা বৃদ্ধি পেয়েছে, দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এর পাশেই আরেকটা কথাও আছে তা হলো, কোনো সরকার তার সময়ে দুর্নীতিবাজ বা ক্যাসিনো প্লেয়ারদের যেভাবে জেলে দিয়েছে, তা স্মরণে রাখার মতো।

 

ওমর ফারুক চৌধুরীর মতো যুবলীগের বড় সব নেতাদের ধরে কারাগারে দেওয়া হয়েছে তাতে আর যাই হোক এটুকু আস্থা রাখা যায় যে, শুদ্ধি অভিযান আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত বা জাতীয় পার্টির সময়ে হয়নি। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

 

আমাদের শিক্ষক একটা কথা প্রায় বলতেন, যে কাজ করে ভুল তারই বেশি। আর যে কাজ করে না। নিশ্চুপ বসে অন্যের ভুল ধরতে ব্যস্ত তার ভুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ কাজ করেছে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

 

বিশেষ করে নারী শিক্ষা, নারীর হাতে সমৃদ্ধ অর্থনীতি, নারী জাগরণে আওয়ামী লীগ এগিয়ে। তার বিপরীতে যা দেখা যায় তা হলো, ধর্মের অজুহাত দিয়ে নারীদের ঘরে বন্দি করার রাজনীতি কিন্তু কেউ কম করেনি বরং এখনো কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তাই করছে সেই জায়গায় নারী যে সন্তানের অভিভাবক হয়ে গোটা কর্মকাণ্ড একা হাতে সেরে ফেলতে পারবেন তা আওয়ামী লীগই দেখিয়েছে।

 

এখন নারী আর ঘরে নয়, পটের বিবিও নয়, নারী এখন অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি। দুই যুগ আগে ‘নারী অর্থনীতি’ এই বিষয়ে কেউ কি ভেবেছিল বা জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা ক্ষণে ক্ষণে বড় গলা উঁচিয়ে ‘নারীর সব গেল’ বলে চিৎকার করেছে তা তো নয়ই বিএনপিও করেনি।

 

এখন প্রান্তিকে বাস করা কোনো নারীও ভাবে কীভাবে তার বাড়িতে উৎপন্ন হওয়া পণ্য ঢাকায় পৌঁছে কিছু বাড়তি আয় করবে। এটা দুই যুগ আগেও কেউ ভাবতে পারেনি। এখন চা দোকানদার থেকে শুরু করে কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব, আইন-প্রশাসনসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নারীর জয়জয়কার। এইটাই আসলে নিজের ভালো বোঝা।

শুধু কি নারী ক্ষমতায়ন। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল যারা নারীর ঘরের বাইরে আসা অপছন্দ করে তারাও কিন্তু স্বীকার করে নারীর অগ্রগতি হয়েছে এবং শেখ হাসিনাই নারী অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছেন।

 

এই অগ্রগতি থামার নয়, এখন দরকার স্থিতাবস্থা। বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিদেশি বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পোশাক রপ্তানিসহ নানা ক্ষেত্রে দেশ যে ঈর্ষণীয় জায়গায় পৌঁছেছে তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। দ্বিমত শুধু রাজনীতি নিয়ে।

 

আগে বলা হতো রাজার নীতি রাজনীতি, এখন ঠিক সেই জায়গায় নেই। এখন জনগণ সংশ্লিষ্ট নীতি বা জনগণের ভালো রাখার নীতিই রাজনীতি। সেই রাজনীতিতে কাউকে বেশি ছাড় দিতে হয়, কাউকে কম। কিন্তু ছাড় দিতেই হবে। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাড় দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, এইটাই সবাই বলবে বা বলছে। কিন্তু এটাও কথা যে, সংলাপ দিয়ে যখন সবকিছু সমাধান সম্ভব ছিল তখন কেন বড় দুই রাজনৈতিক দলের একটি দল সংলাপে আসেনি। এর উত্তর কি কারও কাছে আছে? উত্তরটা জানা জরুরি। আজকে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। এই উত্তাপ সব জায়গায়, এর কারণে অর্থনীতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক কিছু।

 

নভেম্বর-ডিসেম্বর আসলেই ট্যুরিজমকেন্দ্রিক ব্যবসা জমে ওঠে। সেই ব্যবসা এখন মন্দা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের মোট অবদান ছিল ৮৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা। তা ক্রমশ বাড়ছে।

 

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫১টি দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করবেন, যা মোট জিডিপির ১০ শতাংশ অবদান রাখবে। সেই জায়গায় পৌঁছাতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা। এখন ভারতের প্রচুর পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করছে এবং তারা ভিডিও ব্লগ তৈরি করছেন। তাদের ব্লগ দেখে আরও অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন বাংলাদেশ ভ্রমণের। প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতিতে কেউ কি বাইরে থেকে দেশে আসবেন? বা দেশের লোকজন অন্যত্র ভ্রমণ করবেন?

 

ফ্রান্স, মেক্সিকো, ইতালি, ভারত ও স্পেনের মতো দেশের বড় আয় হলো পর্যটন খাত। সেই জায়গায় আমাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের পেছনে ঠেলে দিচ্ছে।এর থেকে পরিত্রাণ জরুরি। সেই পরিত্রাণ তখনই সম্ভব হবে যখন বড় দুই রাজনৈতিক দল একমতে পৌঁছাবে। ভোটের উৎসব হবে। আমরা সেই ভোটের উৎসব দেখতে চাই। আমরাও আমাদের ভালো চাই।

 

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।