দৈ. কি.ডেস্ক : প্রথমবার ইউরোর শেষ ষোলোয় উঠা স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে গোল পায়নি পর্তুগাল। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া সুযোগ আসে অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে সহজতম গোলটি করতে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পেনাল্টিতে যার দেড়শ গোলের মাইলফলক রয়েছে। সেই সঙ্গে সবশেষ ১৩ পেনাল্টিতেই যিনি সফল। সেই তাকেই কিনা এদিন হতাশ করে দিয়েছিলেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। ঝাঁপিয়ে পড়ে রোনালদোর নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে স্লোভেনিয়াকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এদিন গোল না পেলেও ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে আক্রমণে আধিপত্য ছিল পর্তুগালেরই। ম্যাচের ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখে স্লোভেনিয়ার রক্ষণে মোট ৯৩টি আক্রমণ করেছে রবার্তো মার্তিনেজের দল। গোল হওয়ার মতো আক্রমণ ছিল ২০টি। সেখান থেকে পোস্টে রাখতে পেরেছে ৬টি শট। দুই অর্ধেই গোলের বেশ ভালো কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে পর্তুগাল। এরপরও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পাচ্ছিল না পর্তুগাল। ইউরোর আগে গত মার্চে পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারানোর কীর্তিটা তারা ইউরোর মঞ্চেও করে দেখাতে চেয়েছিল। অন্তত পর্তুগালকে টাইব্রেকারে নিয়ে হলেও। সেটা তারা করে দেখিয়ে ছিলও বটে।
নির্ধারিত সময়ে নিজেদের রক্ষণ বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছে স্লোভেনিয়া। তবে অতিরিক্ত সময়ে আর সেটা পারেনি তারা। স্লোভেনিয়ার রক্ষণে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন দিয়োগো জোতা। তাকে আটকাতে গিয়ে ফেলে দেন ভানজা দারকুসিচ। পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। তবে এ দফায় স্লোভেনিয়াকে বাঁচিয়ে দেন ওবলাক। রোনালদোর গোল ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচটা নিয়ে যান টাইব্রেকার অবধি। যদিও সেখানে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ফুটবলাররা।
টাইব্রেকারে টানা তিনটি শট ঠেকিয়েছেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক কস্তা। একে একে ফিরিয়ে দেন জোসিপ ইলিচিচ, জুরে বালকোভেচ ও বেঞ্জামিন ভারবিচের শট। অন্যদিকে টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও বের্নার্দো সিলভা। হাফ ছেড়ে বাঁচে রোনালদো। কস্তা শেষ শটটি ঠেকাতেই হাসি ফোটে রোনালদোর মুখে।
রাতের আরেক ম্যাচে শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। তাদের বিপক্ষেই আগামী ৫ জুলাই রাত ১ টায় কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নামতে হবে পর্তুগালকে।