দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাব হেফাজতে থাকা সুরাইয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারী আসামির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না। এই ঘটনায় শনিবার (১৮ মে) ভৈরব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম। তবে মামলার বিষয় অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহমেদ।
গত ১৭ মে শুক্রবার সকাল ৭টায় র্যাব হেফাজতে থাকা সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারী আসামি অসুস্থ হলে র্যাবের সদস্যরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের একটি কক্ষে পড়ে থাকে। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপস্থিত থেকে নিহতের মরদেহের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠান।
পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুর ১টার দিকে সুরাইয়া খাতুনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বরুণাকান্দা ইউনিয়নের চন্ডিপাশা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
সুরাইয়া খাতুনের ভাসুর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী সম্পূর্ণ একজন সুস্থ মানুষ ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকালে সুরাইয়া খাতুনকে হাসপাতালে আনেন র্যাব সদস্যরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মৃত অবস্থায় পান। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানালে ভৈরব থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। থানায় অপমৃত্যুর মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের একজন চিকিৎসক মামলার বাদী হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।