শীতের নানান সবজির মধ্যে শিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এটি ছোট বড় সকলের নিকট অতি পরিচিত। শিমের বিচির পুষ্টিগুণ প্রচুর । শিমের বিচি শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় না, রোগ জীবাণু শরীরকে আক্রমণ করতে দেয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ বা প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, সি ও কে উপাদান পাওয়া যায়। যা আমাদের সুস্থ দেহ গঠনে ও রোগ নিরাময়ে বিরাট ভূমিকা পালন করে।
যাঁরা এই দুর্মূল্যের বাজারে গরুর মাংস কিনতে পারেন না বলে আফসোস করেন; তাঁদের বলছি, ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে যে পরিমাণ অর্থাৎ ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন আছে, একই পরিমাণ শিমের বিচিতে তা আছে ২৪.৯ গ্রাম। অথচ আমাদের দেশে অনেকে প্রোটিনের অভাবজনিত রোগে ভোগেন। যেমন—
● বাড়ন্ত বয়সে প্রোটিনের অভাবে দেহ সুগঠিত হয় না অর্থাৎ উচ্চতা কম হয়, দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
● দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না।
● হাড়ের গঠন মজবুত হয় না। ফলে কর্মক্ষমতা কমে যায়।
● হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় এবং দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে।
যাঁরা নিরামিষভোজী, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ ধর্মীয় কারণে খেতে চান না, তাঁদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে এই শিমের বিচি। ভেজিটেবল প্রোটিনে ভরা এই খাবার শরীরে প্রোটিনের দরকার এমন সব মাংসপেশিকে যথাযথ প্রোটিনের জোগান দেয়।
শিমের বিচিতে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য ভীষণ উপকারী, দুধ বাড়ে। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যাঁদের জন্য নিষেধ
● যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে।
● যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি।
● যাঁদের পিত্তথলিতে পাথর আছে।