আজ ২৫ ডিসেম্বর। শুভ বড়দিন। ২ হাজার ২৩ বছর আগে বর্তমান ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে কুমারী মা মেরির গর্ভে এদিন জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। জগতময় শান্তির বাণী ছড়িয়ে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে ধরায় আগমন ঘটে এ মহামানবের।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু ঈশ্বরের পুত্র। ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। আর সেই নারীই কুমারী মেরি—মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে যার পরিচয় হজরত মরিয়ম (আ.) হিসেবে।
কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন মেরি। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায় ‘যিশু’। বেথলেহেমের গোশালায় জন্ম নেয়া যিশু মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। মানবজাতির মুক্তির জন্য যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন ঈশ্বর।
যিশু বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। বললেন, ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো প্রতিবেশীকে, এমনকি শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।
তিনি বললেন, ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো। সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর বাণী অনেকে গ্রহণ করলেও তা মেনে নিতে পারেননি রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা। যিশুখ্রিষ্টকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। বন্দি করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিষ্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে উদযাপন করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন।
প্রতি বছর এদিন ক্রিসমাস ট্রি, ফুল, বাহারি বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাধ্যমতো সাজানো হয় চার্চ ও খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘর। সব আয়োজনের লক্ষ্য প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। দিনটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।