দৈ. কি.ডেস্ক : আজ ১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশে ফিরে আসেন তিনি। ওই দিন সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে অবস্থান করার সময়ই ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপরই তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন ।
ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। তাঁকে স্বাগত জানাতে তৎকালীন কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
সেই থেকে চার দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথম রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
বাসস জানায়, দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। তাঁর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
দলীয় প্রধানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনটিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে থাকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো।