দৈ. কি.ডেস্ক দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস শুরু হচ্ছে। এরইমধ্যে বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর রুটিনসহ নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে গত ২ জুন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস ছুটি দেওয়া হয়। এরপর নানা ঘটনা পেরিয়ে দীর্ঘ ১১২ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস খুলছে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ বর্ষ বাদে সকল বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস (১১২ দিন) বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে ৭ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হল ও অফিস কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাস শুরু করা যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। ২৭ আগস্ট নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ১৩ সেপ্টেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ ডিপার্টমেন্টগুলোতে এখনও অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রথম বর্ষসহ অনাবাসিক অনেক নারী শিক্ষার্থী এখনও সিট পায়নি। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সিটের ব্যবস্থা না করে ক্লাস শুরু করে দেওয়া হলে তাদের আবাসন সংকটে পড়তে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে আওয়ামী পন্থি ‘নীল দল’-এর শিক্ষকদের অপসারণের যে দাবি উঠেছে, তার বিহিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করে একাডেমিক কার্যক্রমকে পূর্ণ গতিতে সচল করাটা কঠিন বলে মনে করেন তারা।