দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুল থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণচেষ্টার ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) শহরের গাছতলা এলাকায় ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে ৷
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নুসরাত আক্তার নুর (৭)। সে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং গাছতলাঘাট এলাকার হানিফ মিয়ার মেয়ে।
আটক হেনা বেগম (৪২) শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রেণিকক্ষ থেকে নুসরাত আক্তারকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন হেনা বেগম। রিমা নামের এক স্কুলশিক্ষিকার বিষয়টি চোখে পড়লে তাদের ডাক দেন। পরে শিশু নুসরাত আক্তার দৌড়ে গিয়ে শিক্ষিকাকে বলে, তার বাবা নাকি অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন। তখন ওই শিক্ষিকা বিষয়টি হেনা বেগমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি সরে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হেনা বেগমকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থী নুসরাত আক্তার বলে, ‘আমি ক্লাসে বসে আর্ট করছিলাম। আমাকে ওই মহিলা এসে বলে, আমার বাবা অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। আমি উনার সঙ্গে যাওয়ার সময় মিস আমাকে ডাক দেন। মিস বলেন, তোমার বাবা অ্যাক্সিডেন্ট করেনি। পরে আমি ক্লাসে ফিরে আসি।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে একজন শিক্ষিকার নজর পড়েছিল। তা নাহলে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যেতো।’
এ ঘটনায় থানায় অপহরণচেষ্টার মামলা করেছেন শিশু শিক্ষার্থী নুসরাতের বাবা হানিফ মিয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেন আমার মেয়েকে অপহরণ করতে চেষ্টা করা হয়েছে আমার জানা নেই। আমি এর বিচার চাই।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।