দৈ. কি.ডেস্ক : হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম ব্যারিস্টার সুমনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হদয়। উক্ত ঘটনার আগে শিক্ষার্থীদের দেশের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে সুমন। ছাত্র জনতার আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় গুলি চালানো হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, চতুরতা ও প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর (সুমনের) উত্থান। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। স্বতন্ত্র দাবি করে আওয়ামী লীগের অন্যতম সুবিধাভোগী এই ব্যারিস্টার সুমন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে এবং হত্যায় অংশ নিয়ে হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
পক্ষান্তরে মোরশেদ হোসেন শাহিন বলেন, শুধুমাত্র এজাহারে নাম দিয়ে তাঁকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা ও সাবেক সংসদ সদস্য বিবেচনায় তার জামিন চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার রাতে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। মিরপুর ৬ নম্বর এলাকায় বোনের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ আগে সোমবার দিবাগত রাতে ১টা ১৮ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুমন লিখেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই’।