দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের হাওড়ে নির্মাণাধীন উড়াল সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সর্বদলীয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত মোড়ে ‘হাওড় এলাকাবাসী’ ব্যানারে সর্বদলীয় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়নের মরিচখালি পর্যন্ত প্রস্তাবিত উড়াল সড়ক নির্মাণের দাবিতে সর্বদলীয় এই মানববন্ধনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির নেতারা বক্তব্য দেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত এই প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাবে মর্মে খবর প্রচারিত হওয়ার কারণে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকার মানুষ এ মানববন্ধন করে।
এতে বক্তব্য দেন, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহ মো. হেদায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গুনধর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তোফায়েল আহমেদ জাহেদ, গুনধর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, করিমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য জুনায়েদ কবির, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মইন উদ্দিন, উর্দীগি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা শেখ নজরুল ইসলাম, গুনধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সভাপতি আবু সজিব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত উড়াল সড়টি কেবল কিশোরগঞ্জর নয়, সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের সংযোগ স্থাপন করলে একটি আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে যেতে দেড়শ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এই উড়াল সড়কটি সারা দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক অবদান রাখবে।
এছাড়াও, এই এলাকার অনেকেরই হাওড়ে প্রচুর বোরো জমি রয়েছে। বোরো ধান কাটার সময় পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষার পানির জন্য অপেক্ষায় থেকে অনেক সময় পানিতে ধানসহ খড় তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সামগ্রিক প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই অবিলম্বে এই উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য সরকারের কাছে বক্তারা দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইন থেকে করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়নের মরিচখালি পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৭ দশমিক ১৫ মিটার প্রস্থের চার লেনের একটি উড়াল সড়ক প্রকল্প গ্রহণ হাতে নেয় বিগত সরকার।
সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য এই প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যুগ্ম সচিব সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীকে। তিনি এই প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু করেছিলেন। প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প’।
গতবছর ১৭ জানুয়ারি একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালি বাজার পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত করে ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার রাস্তাও তৈরি করা হবে। প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে গত বছর ১ মার্চ থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। উড়াল সড়কের জন্য অধিগ্রহণের জমির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৪৯ একর। এরই মধ্যে প্রকল্পের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জমা পড়েছে ১২টি দরপত্র। চলছে দরপত্র যাচাই বাছাই কার্যক্রম।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।