ডেস্ক: রোজার সময় দিনের শেষভাগে মাথাব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। ইফতারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে এ ব্যথা সেরে যায়। পরদিন আবার এ মাথাব্যথা ফিরে আসে। এতে রোজাদার বেশ কষ্টে দিনযাপন করেন। অতিরিক্ত ভাজা খাবার, কম পানি গ্রহণ, অপর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম, সেহরিতে খুব কম খাবার খেলে মাথাব্যথা হতে পারে। অ্যাসিডিটি থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ দুটি সমস্যা একই কারণে হতে পারে। একটির সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক রয়েছে।
ক্যাফেইন গ্রহণ না করা
যারা দিনে অতিরিক্ত চা-কফি পান করে অভ্যস্ত তারা যদি হুট করে চা-কফি পান করা কমিয়ে দেন তাহলে মাথা ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য চা-কফি পান করা কমাতে হবে। প্রতিদিন রোজা শুরুর আগে এক কাপ কফি খেতে পারেন, যা আপনাকে মাথা ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া
রক্তে শর্করা হঠাৎ নেমে গেলে মাথা ব্যথা হয়। আপনি যদি সাহরিতে বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হুট করে বেড়ে যেতে পারে। আবার কিছুক্ষণ পর তা নেমে যাবে আর তখনই মাথা ব্যথা শুরু হবে।
গ্লাইসেমিক সূচক অনুযায়ী টক দই বা হালকা মিষ্টি দই, আপেলের জুস, আঙুরের জুস ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ডিহাইড্রেশন
মানুষের মস্তিষ্কে বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকে পানি। যখন পানির পরিমাণ কমতে শুরু করে তখন হিস্টামাইন তৈরি হয়। আর এই হিস্টামাইনের অভাবে মাথা ব্যথা শুরু হয়। এ জন্য সাহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে ঘুম ও বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোজা খোলার পর এই ব্যথা চলে যায়।
দোকানের তৈরি তেলে ভাজা খাবারেও অ্যাসিডিটি হয়। এর কারণ নিুমানের তেল। একই তেলে বারবার ভাজা হয়, আবার যে খাবারটি ভাজা হচ্ছে সেটা একেবারে শক্ত করে ফেলা হয়। যা হজম করা কষ্টসাধ্য। বাইরের কাটা ফল, জুস, শরবত যতটা সম্ভব না খাওয়া ভালো। মাথাব্যথা ও অ্যাসিডিটির জন্য বাদ দিতে হবে চকলেট, পাস্তা, ডুবো তেলে কড়া ভাজা, টেস্টিং সল্ট, সয়াসস, কফি, কড়া চা, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও অতিরিক্ত ঝালযুক্ত খাবার। বাসি খাবারে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়।
রমজানে প্রতিদিনই আদা-পুদিনা, গোলমরিচ খেলে ভালো হয়। আদা-পুদিনা পাতা দিয়ে কাঁচা ছোলা খাওয়া যায়। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা সিদ্ধ ছোলা ভুনা না করে এর মধ্যে শসা, টমেটো, সরিষার তেল দিয়ে মেখে খেতে পারেন। আবার আদা-লেবু-কালোজিরা দিয়ে হালকা লাল চা খেলে ভালো হয়। তেঁতুলের পাতলা রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে পটাশিয়ামের জন্য শরীর ঠান্ডা থাকে। এতে মাথাব্যথা ও অ্যাসিডিটি দুটিই দূর হয়। এ সময় ঠান্ডা সালাদ খেলেও ভালো হয়। ফলে সালাদও উপকারী।