ডেস্ক: আনার একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল। আমরা একে আনার বা বেদানা বা ডালিম বলে থাকি। এই ফলটি বাইরে থেকে দেখতে যেমন সুন্দর খেতে খুব সুস্বাদু। আনারের আদি নিবাস পারস্যে বলা হয়ে থাকে। পারস্য থেকেই এই ফলটি আমেরিকা, ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পুষ্টিগুণে ভরা আনারে রয়েছে ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও জিংক। একটি মাঝারি আকৃতির আনারে প্রায় ১০০ ক্যালরি শক্তি রয়েছে। আনার ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স যেমন-থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন এবং আয়রনের অন্যান্য উপাদানের উৎস।
আনারের উপকারিতাঃ
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আনারের রস হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুন কাজ করে থাকে। মাত্র এক গ্রাম ডালিমের রসে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টকে ঝুঁকিমুক্ত রাখে। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ডালিমে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাথে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। এই দুইটি ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ উপকারি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়কঃ আনারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেল তৈরি ও বেড়ে ওঠাকে বাধা দান করে। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে আনার বেশ কার্যকর।
ত্বকের সজীবতা ধরে রাখেঃ আনারের জুস ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারি। এটা ত্বকের গভীরে ঢুকে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে। এছাড়া মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও সাইটো কেমিক্যাল উপাদানের যোগান দেয়। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে এগুলো খুবই দরকারি।
কোলাজেন গঠনে সহায়কঃ ত্বকের একটি স্তর ডার্মিস, যা ফাইবার বা আঁশ দিয়ে তৈরি। ডার্মিসকে ঠিক রাখে কোলাজেন, যার জন্য দরকার প্রোটিন ও ভিটামিন-সি। আনার কোলাজেন ফাইবারকে ঠিক রেখে অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন কিছু পরিমাণে আনার খায় তারা অন্যদের তুলনায় কম স্ট্রেস বা মানসিক চাপে ভোগে। চিন্তামুক্ত থাকতে তাই নিয়মিত আনার খেতে পারেন।
কোষের পুনরুজ্জীবনঃ আনারে পর্যাপ্ত ফ্যটি আসিড রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ক্যারাটিন বজায় রাখার গুণাগুণ। এই কারনে কোষের পুনরুজ্জীবনের সাথে সাথে ত্বকে বয়সের ছাপও কম পড়ে।