দৈ. কি.ডেস্ক : খেলার মাঠ কিংবা বাড়ির আঙিনায় খোলা মাঠে চলছে স্কুল। বই-খাতা নিয়ে এসব স্কুলে পড়ছে না কৃষক-কৃষাণীরা। টেকসই, পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়নে কিশোরগঞ্জে আলো ছড়াচ্ছে কৃষি বিভাগের পার্টনার স্কুল। ব্যতিক্রমী এই স্কুলে পড়ে কৃষক-কৃষাণীরা দক্ষ হয়ে উঠেছেন পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে। ভূমিকা রাখছেন পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটাতে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা এলাকায় একটি কলেজের খেলার সবুজ মাঠে বসে ক্লাস করছেন একদল নারী। হাতে বই-খাতা। নিমগ্ন হয়ে শুনছেন শিক্ষকের কথা। নানা বয়সের এসব নারী কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সবাই এখানে ‘স্কুলছাত্রী’।
তবে এটি গতানুগতিক কোনো স্কুল নয়। মুক্ত এলাকায় চেয়ার-টেবিল ছাড়া এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে কীভাবে সহজে বাড়ির আঙিনায় নানা জাতের সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানো যায়।
একই উপজেলার সদরের দাওরাইট এলাকায় একটি বাগানে মাটিতে বসে কৃষি কাজের নানা তথ্য ও কৌশল শিখছেন ২৫ জন কৃষক কৃষাণী।
কৃষকরা জানান, এসব স্কুলে পড়ে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন। জমিতে সঠিক মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার, পোকা দমনসহ এই স্কুলে পড়ে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রিসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ- পার্টনার প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’ নামে এসব স্কুল। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিচালিত প্রতিটি স্কুলে ২৫ জন কৃষক সপ্তাহে একদিন করে ১০টি সেশানে ক্লাস করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও একজন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্কুল পরিচালনা করেন।