প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ:বিপুল আনন্দ উৎসাহ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় ৫০জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা সফর সম্পন্ন হয়েছে।
শিক্ষাসফর শিক্ষার অন্যতম একটি অংশ। বই থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্তরে ধারণ করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে যায় সে অর্জিত জ্ঞান প্রত্যক্ষ করতে। বইয়ের পড়া আর চোখের দেখা এই দুইয়ে মিলে পরিপূর্ণভাবে আলোকিত হয়ে উঠে শিক্ষার্থীর অন্তর্লোক। শিক্ষা সফর শিক্ষার্থীদের যেমন মুক্তি দেয় লেখাপড়ার একঘেয়েমী থেকে, তেমনি তাদের পুস্তক লব্ধ জ্ঞানকে দৃঢ়তা ও স্থায়িত্ব প্রদান করে। শিক্ষা সফরে গিয়ে বিশাল পৃথিবীর অপরিমিত সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করারও সুযোগ পায়। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি একঘেয়েমী থেকে মুক্তি দিতে এবং তাদের মানসিক ভাবে প্রশান্তি প্রদানের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা সফরের আয়জন করেছে। শিক্ষা সফের স্থান নির্ধারন করা হয়েছেঃ ময়নামতি, শালবন বিহার, বার্ড’স, ওয়ার সিমেট্রি, কুমিল্লা।
আজ (১ মার্চ) সকালে কুমিল্লা, ময়নামতি, শালবন, বার্ড এই আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আনন্দ ভ্রমণে শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশনা করেন ছাত্র-ছাত্রীরা । পরে তাদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
আনন্দ ভ্রমনে অংশগ্রহণ করেন শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক উম্মুন ওয়ারা শারমিন, শিক্ষক তাওহীদ হাসান, শিক্ষক ইন্দ্রতীদ, শিক্ষক প্রমুখ।
শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক উম্মুন ওয়ারা শারমিন বলেন, বই পড়ে যে শিক্ষা অর্জন করা হয় তা পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়। শিক্ষার সাথে বাস্তব জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলেই তা হয়ে উঠে পরিপূর্ণ শিক্ষা। নানা রকম ব্যবহারিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এ পূর্ণতা অর্জন করা যায়। এসব কর্মকান্ডের মধ্যে শিক্ষা সফর অন্যতম। শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু আনন্দ লাভই করে না, বরং ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষ করে এবং সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে। তাই প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।