গুলশান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মেজর হাফিজের আইনজীবী আমিনুল হক। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হুইল চেয়ারে করে উপস্থিত হন তিনি। তার জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত এলাকায় স্লোগান দেন মেজর হাফিজের অনুসারীরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
ভারতে চিকিৎসা শেষে গত ৩ মার্চ দেশে ফেরেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ওইদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমান থেকে নামার পর কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে বসিয়ে রাখেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সেখান থেকে বের হন তিনি।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর স্ত্রী দিলারাসহ তিনি ভারত যাওয়ার কথা থাকলেও ইমিগ্রেশন হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে যেতে দেয়নি। তখন তার স্ত্রী ভারত যান।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিনকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন তিনি।
রিটে তাকে বাংলাদেশ ত্যাগ ও বিদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ২১ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আড়াই মাস পর দেশে ফিরেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ২০১১ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে (বীর বিক্রম) ২১ মাসের সাজা দেন।