ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস, চান্স পেয়ে আভিস্কা ফার্নান্দো করলেন বাজিমাত। গতকাল সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। টস জিতে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রামকে। তানজিদ হাসান তামিম ও আভিস্কা ফার্নান্দো নামেন ওপেনিংয়ে। লঙ্কান ওপেনার ফার্নান্দোর ক্যাচ ফেলেন বরিশালের পাকিস্তানি রিক্রুট আহমেদ শেহজাদ। শেষ পর্যন্ত ফার্নান্দোর রানের নিচেই চাপা পড়ে ফরচুন বরিশাল। শেহজাদের ক্যাচ মিস ও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ডোবে গত আসরের ফাইনালিস্ট দলটি। সিলেটে ইনিংস শেষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ পৌঁছে ১৯৩/৪-এ। ৫০ বলে ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ইনিংসে লঙ্কান ওপেনার হাঁকান পাঁচটি চার ও ৭টি ছক্কা।এদিন ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান কার্টিস ক্যাম্পার। ৯ বলে ২৯ রান ও বল হাতে ৪ ওভারে চার উইকেট নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আইরিশ তারকা।
চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৪ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেন বরিশালের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবাল। ক্যাচ মিস করে যে ভুল করেছিলেন তা ব্যাটিং দিয়েই পুষিয়ে দিচ্ছিলেন আহমেদ শেহজাদ । ৩৫ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন এ দু’জন। বিলাল খানের বলে মারতে গিয়ে ক্যাম্পারের বলে তালুবন্দি হন শেহজাদ। ৩৯ রানেই থামে এই পাকিস্তানি ওপেনারের ইনিংস। এরপর তামিমও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি। ক্যাম্পারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফার্নান্দোর হাতে তালুবন্দি হয়ে মাত্র ৩৩ রানেই ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। তামিমের আউটের পর নিয়মিত উইকেট হারায় বরিশাল। অধিনায়কের ফেরার দুইবল পড়েই নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকার। ১৭ রানেই থামে তার ইনিংস। সৌম্যের আউটের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও দলের হাল ধরতে পারেননি। পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটার ইয়ানিক কারিয়াহও। তারা ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ ও ৪ রানে। এ সময় চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬ বলে ৩৫ রান) ও মুশফিকুর রহীম (২৩ বলে ২২)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ফরচুন বরিশালের। ১৮৩/৭ স্কোরে ইনিংস শেষ করে ১০ রানের হার দেখে তামিম ইকবালের দল। এর আগে দারুণ শুরু করেন তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ওভারেই হাঁকান তিনটা বাউন্ডারি। তাইজুলের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে দুনিথ ওয়েল্লালাগের কাছে ক্যাচ তুলে দেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ওপেনার। দুনিথ ক্যাচ নিয়ে বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করার আগে বল শূন্যে ভাসিয়ে বাউন্ডারির বাহিরে গিয়ে আবার ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পন্ন করেন।এবারের বিপিএলের অসাধারণ ক্যাচগুলোর মধ্যে এটিও একটি। তানজিদের আউটের পর আউট হন ইমরানুজ্জামান। তাকেও ফেরান তাইজুল উসলাম।
পর পর দুই উইকেট হারানোর পর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। দুজনে গড়েন ৭০রানের পার্টনারশিপ।
ইয়ানিক কারিয়ার বলে বোল্ড আউট হয়ে ৩১ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দিপু। এরপর দলকে একাই এগিয়ে নিয়ে যান আভিস্কা। আভিস্কা যেভাবে একেরপর এক চার ছক্কার মেলা সাজাচ্ছিলেন তাতে সবাই ভেবেই নিয়েছিল এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটা হয়তো তিনি তুলে নিবেন তিনি। কিন্তু ৯১ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় আভিস্কাকে। ব্যক্তিগত ৩০রানে আভিস্কার সহজ ক্যাচ মিস করেন পাকিস্তানি তারকা আহমেদ শেহজাদ। যার খেসারত দিতে হয় পুরো দলকে। ফরচুন বরিশালের ক্যাচ মিসের ভোগান্তি দেখা গেছে আসরে তাদের আগের ম্যাচগুলিতেও।