ঢাকা১১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন

ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রচারণা নিয়ে কেন অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিএনপি?

admin
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক:  বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে প্রচারণা চলছে তা নিয়ে গত কয়েকদিনে বিরোধী দল বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিলেও, দলীয়ভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিএনপি।

দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, এই কর্মসূচি বিএনপি আহবান করেনি। এটি এখন সামাজিক আন্দোলন হিসেবে পরিণত হয়েছে। বিএনপি এখনো দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরে যথাসময়ে এ বিষয়ে দলের অবস্থান বা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের যে সংকট চলছে ভারত-বিরোধী ইস্যুতে তা প্রকট হয়েছে।

একইসঙ্গে ভারত ইস্যুতে বরাবরের মতোই দলটিতে যে মতের পার্থক্য রয়েছে তাও স্পষ্ট হয়েছে। এতে বরং আওয়ামী লীগই লাভবান হবে বলে মনে করছেন কোন কোন বিশ্লেষক।

ভারতের যে কোন ইস্যুতে বরাবরের মতোই এবারও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।

সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে যে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ক্যাম্পেইন চলছে তাতে বিএনপির সরাসরি কোন দলীয় অবস্থান না থাকলেও দলটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এতে সমর্থন জানিয়েছেন।

বুধবার এবিষয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোনা করে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২০ মার্চ বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজের ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলে এই আন্দোলনে সংহতি জানান।

যদিও পরে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য।

এরই মধ্যে গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এই ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের’ বিষয়টি নিয়ে ও আলোচনা হয়।

এতে রুহুল কবির রিজভীর ওই কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জনে রিজভীর সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্য ব্যক্তিগত বলে স্থায়ী কমিটিতে জানানো হয়েছে।

দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, এই আন্দোলন বা কর্মসূচি বিএনপি আহ্বান করেনি। অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকে এই আহ্বান করা হয়েছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ যখন মার্কেটে যায় তারা একটা কোয়ালিটি কাপড় দেখে। সেটা মেইড ইন বাংলাদেশ, মেইড ইন ইনডিয়া নাকি চায়না এটা দেখে না।  ইনডিয়ান কাপড় কেনে এমন ও না। এটার কথা স্পেসিফিক করা যাবে না। এটা একটা রাজনৈতিক আবেগ। মানুষ ভোট দিতে পারে নাই।

নির্বাচনের পরে আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচনের সময় ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

এই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে গয়েশ্বর রায় বলেন, জনগণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবতে পারে ভারতের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তার ক্ষোভ, অভিমান থেকে জনগণ অনেক কথাই বলছে।

এই আন্দোলনটি এখন সামাজিক আন্দোলন হিসেবে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। যথাসময়ে এ বিষয়ে বিএনপি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতারা কেন স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না এমন প্রশ্ন তোলেন।

সেই প্রশ্নের উত্তরে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতারা ইন্ডিয়া থেকে শাড়ি খুব একটা কেনে না। আমার নানাবাড়ি ভারতে। বিয়ের পর একবার ভারত গিয়েছিলাম মামাবাড়ি। সেখান থেকে আমার স্ত্রীকে একটা শাড়ি দিয়েছিল। সেটা অনেক আগেই কাথা বানানো হয়েছে, সেটাও ছিড়ে গেছে।

ভারতের সাথে সম্পর্ক ক্ষুন্ন করা এটা নিয়ে দুই একটা পত্রিকা খুব বিচলিত। আমরা ছাত্রজীবন থেকেই রুশ ভারতের দালাল স্লোগান দিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতকে আগ্রাসী শক্তি হিসেবে বেশি মূল্যায়ন করেছে। বামপন্থী দলগুলো বেশি এই মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে মনে হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাই যেন পাপ।

রিজভী বলেন, জাতীয় স্বার্থের বাইরে যা যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করি।

নিজের দেশের কারখানায় শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যের কাছে নতজানু হওয়া যাবে না।

সীমান্ত হত্যা, ডামি নির্বাচন, ডামি সরকারের বিরুদ্ধে থাকলে তাদের (ভারত) বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হবে না জনগণ, পণ্য বয়কট করবে না?এমন প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।

তারা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের সংকট চলছে। ফলে এটি যুগ্ম মহাসচিবের ব্যক্তিগত বক্তব্য নাকি কতখানি বিএনপির সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।

রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী বলেন, এই কর্মসূচি নিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপির দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব আছে। রিজভীর চাদর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আরেক দল বলছে ভারতকে আমরা অসন্তুষ্ট করবো না কারণ তাহলে ক্ষমতায় আসা যাবে না। আবার আরেকদল ভাবছে তাদের অফিসিয়াল স্ট্যান্ড গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বের জন্য ফাইট করবো। সুতরাং দলের মধ্যেই এরকম একটা দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে বলে আমার মনে হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপির মধ্যে যে লিডারশীপের ক্রাইসিস চলছে। কে মহাসচিব হবে সেটা একটা বিষয়। আরেকটা বিষয় নির্বাচনে যেহেতু পশ্চিমা দেশের সাপোর্ট তা সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। তাই অ্যান্টি ভারত সেন্টিমেন্ট সামনে নিয়ে এসে সেটাকে কাজে লাগিয়ে তারা সাফল্য পেতে চায়।

ভারত-বিরোধী এই কর্মসূচির কোন প্রভাব নেই বরং বিএনপি এতে যুক্ত হলে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।