দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ‘এলায়েন্স বিল্ডিং মিটিং অন এনভায়রনমেন্টাল ইমপেক্ট অ্যান্ড রাইটস অ্যাট লেদার সেক্টর’ শিরোনামে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালা বক্তারা বলেন, ভৈরবে পাদুকা শিল্পের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। পাদুকা তৈরির চামড়াসহ বিভিন্ন উপকরণের লাখ লাখ টন বর্জ্য এলাকার নদী-নালা, খাল-বিল এবং বিভিন্ন খানাখন্দে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের মানুষদের হাতছানি দিচ্ছে এক মহাবিপর্যয়।
বক্তারা আরও বলেন, ভৈরবের পাদুকা শিল্পের উন্নয়ন ও কারখানায় ব্যবহৃত চামড়া ও রেক্সিনের বর্জ্য অপসারণ ও রিসাইকেলিং করে ব্যবহার যোগ্য করার বিষয়ে পাদুকা শিল্পের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা ও পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে। আর এমনটি করা গেলে এ শিল্পে ব্যবহৃত চামড়াজাত পণ্যের বর্জ্য এ খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের হেড অব ইভেন্ট খন্দকার আহমেদ শাহিদ, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর খাইরুল আনাম, ভৈরব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, সমাজসেবা কর্মকর্তা রিফফাত জাহান ত্রপা, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক, তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, মোস্তাফিজ আমিন, সুমন মোল্লা, আলাল উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নেন ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আলামিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, জাতীয় মহিলা সংস্থা ভৈরব শাখার চেয়ারম্যান মেহের নিগার শিখা, পপির কর্মকর্তা মো.বাবুল হোসেন প্রমুখ।
রাজধানী শহর ঢাকার পরই দেশের পাদুকাশিল্পের সবচেয়ে বেশি বিকাশ ঘটেছে কিশোরগঞ্জের নদীবন্দর ভৈরবে। তৎকালীন পূর্ববাংলার রাজধানী কলকাতা শহরে পাদুকাশিল্পে কাজ করা এখানকার কারিগররা নিজ এলাকায় এসে অল্প পরিসরে গড়ে তুলেছিলেন পাদুকাশিল্প কারখানা। বর্তমানে এখানকার হাতে তৈরি ছয়-সাত হাজার কারখানার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ রপ্তানিমুকী ৩৫টির মতো বড় পরিসরের কারখানাও আছে। আর এসব কারখানায় দেড় লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছে। নারী শ্রমিক রয়েছে ৩০ হাজারের মতো।