দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর শুকানো হচ্ছে খড়। এতে সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়কের অর্ধেক অংশ। যানবাহনসহ চলাচলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চালকদের। প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি পথচারীরাও পড়ছে বিপাকে।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক, কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক সড়ক, ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রামের অলওয়েদার সড়ক, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়ক, কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক, নিকলী-বাজিতপুর সড়কসহ গ্রামের বিভিন্ন সড়কে শুকানো হচ্ছে খড়।
কৃষকেরা বলছেন, সড়কে খড় শুকাতে দিলে তেমন কষ্ট করতে হয় না। এক দিনেই খড় শুকানো হয়ে যায়। তাই বেশির ভাগ মানুষ সড়কে ধান ও খড় শুকাচ্ছে। যদিও মহাসড়ক আইন, ২০২১ অনুযায়ী ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা এ ধরনের কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ রয়েছে, তবু মানছে না তারা।
জেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বোরো চাষিরা মাঠ থেকে ধান কেটে রাস্তায় রাখছেন। আবার সেখানেই ধান মাড়াই করে খড় রাস্তায় বিছিয়ে শুকাচ্ছেন। ওই সব খড়ের ওপর দিয়ে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ অটোরিকশা, অটো ভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল। মাঝেমধ্যে খড়ের ওপরে চলতে গিয়ে পিছলে পড়ছে ছোট যানবাহন। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে পথচারীরা।
চালকেরা বলছেন, নিজের সম্পদ মনে করে সড়কে এভাবে ধান ও খড় বিছিয়ে রাখে। ধান ও খড়ের কারণে যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তা তারা চিন্তা করে না। কখন যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি, ভয় পাই।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কে খড় শুকাতে নিষেধ করা হয়। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সতর্ক করি এই বলে যে সড়কে খড় শুকাতে দিলে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা বাড়ে। এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কে খড় শুকানোর বিষয়টি সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করব।’
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন বলেন, সচেতনতা বাড়াতে পুলিশ কাজ করছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।