দৈ. কি.ডেস্ক : দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি ছিল সাভারের রানা প্লাজা ধস। যেই ঘটনায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাড়া দিয়েছিল বিশ্বকেও।
সেই ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হন বিদেশিরাও। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণ হারান এক হাজার ১৩৬ জন। এরপর পেরিয়ে গেছে এক দশক। এ সময়েও শেষ হয়নি ঘটনার বিচার।
২০১৩ সালের ওই ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ভয়াবহ, বীভৎস ও হৃদয় বিদারক। সেদিনের সেই ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, স্বামী, আবার কেউ হারিয়েছেন তার প্রিয় মানুষটিকে। সেদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ধসে পড়ে সাভার বাজারের বাসস্ট্যান্ডের নয় তলা রানা প্লাজা।
ওই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে নবম তলা পর্যন্ত ছিল পাঁচটি পোশাক কারখানা। এতে প্রায় চার হাজার পোশাক শ্রমিক কাজ করতেন। ভবন ধসের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে চার হাজার পোশাকশ্রমিক। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে শোকের মাতম নেমে আসে পুরো সাভারে এবং সেটা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ভারী হয়ে ওঠে আকাশ।
মুহূর্তের মধ্যেই ছুটে আসে সাধারণ উদ্ধারকর্মী, দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা।
তাদের প্রচেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের হতে থাকে জীবন্ত ও মৃত মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের মর্গ কানায় কানায় ভরে ওঠে। পরে লাশগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের অধরচন্দ্র স্কুলের মাঠে।
২০১৩ সালের এই তিন মামলার বিচার কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তারা। ভবন ধসে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় ওই সময় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়।