বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ৭ অক্টোবরের সুপারমুন

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ৭ অক্টোবরের সুপারমুন

আগামী ৭ অক্টোবর দেখা যাবে ২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুন। এই সময় চাঁদ তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসবে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় চাঁদকে বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যাবে। জ্যোতির্বিদদের ভাষায়, এই সময়ের সুপারমুনকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’, যা প্রতি বছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দেখা যায়।

চলতি বছর পরপর তিনটি সুপারমুন দেখার সুযোগ মিলবে। এর প্রথমটি হচ্ছে এই অক্টোবরের হার্ভেস্ট মুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালের হার্ভেস্ট মুন শারদ বিষুবের (Autumnal Equinox) কাছাকাছি সময়ে ঘটবে। বিষুবের সময় সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে বলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে। এই সময় উদিত পূর্ণিমার চাঁদকে সাধারণের তুলনায় বড়, সোনালি-কমলা রঙের এবং অধিক উজ্জ্বল মনে হয়, বিশেষ করে যখন এটি দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থান করে।

সাধারণত পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, তবে হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি ওঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে বড় আকৃতিতে দৃশ্যমান থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় এটি অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

‘হার্ভেস্ট মুন’ নামটির পেছনে রয়েছে ইতিহাস ও কৃষির সঙ্গে জড়িত একটি প্রেক্ষাপট। প্রাচীনকালে, যখন বিদ্যুৎ ছিল না, তখন কৃষকেরা ফসল কাটার মৌসুমে সন্ধ্যার পরও চাঁদের আলোয় কাজ করতেন। এই সময় উজ্জ্বল চাঁদের আলো তাঁদের বাড়তি সময় মাঠে কাজ করার সুযোগ দিত। তাই একে ‘হার্ভেস্ট মুন’ বলা হয়।

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) অনুসারে, বছরের প্রথম সুপারমুন ৭ অক্টোবর পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে দৃশ্যমান হবে। যখন চাঁদ তার পেরিজিতে পৌঁছাবে—পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে—তখন এটি স্বাভাবিকের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে।

সুপারকো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবরের সুপারমুন গড় পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। সেই রাতে, চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬১,৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকবে।

জ্যোতির্বিদদের ধারণা, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই এই সুপারমুন দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে চাঁদ যখন দিগন্তরেখার কাছাকাছি থাকবে, তখন এটি আরও বড় এবং গাঢ় সোনালি-কমলা রঙের দেখাবে।

সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। তবে আলোদূষণবিহীন পরিবেশে এটি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা সম্ভব।

এটি ১১ মাসের মধ্যে প্রথম সুপারমুন হবে, শেষটি ২০২৪ সালের নভেম্বরে দেখা গিয়েছিল। চলতি বছর আগামী ৫ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর আরও দুটি সুপারমুন দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান!

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান!

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ সংঘর্ষে পাকিস্তানি সেনাদের একটি ট্যাঙ্ক জব্দ করার দাবি করেছে তালেবান। বুধবার (১৫ অক্টোবর) আফগানিস্তানের কান্দাহারের স্পিন বোলদাক এলাকায় সংঘর্ষের পর এক ভিডিও প্রকাশ করে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই দাবি জানান।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের সড়কে তালেবান সদস্যরা একটি ট্যাঙ্ক চালাচ্ছে। মুজাহিদ দাবি করেন, পাকিস্তানি বাহিনী নতুন করে আফগান সীমান্তে হামলা চালায়, যাতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন।

তিনি আরও জানান, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তালেবানরা বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করে এবং তাদের পোস্ট, ট্যাঙ্ক ও অস্ত্র জব্দ করে।

তবে ভিডিওটির সত্যতা এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, তালেবানরা আসলেই ট্যাঙ্কটি জব্দ করেছে কি না বা ভিডিওতে প্রদর্শিত ট্যাঙ্কটি পাকিস্তানি বাহিনীর কিনা—তা নিশ্চিত নয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮ জানায়, বুধবারের এই সংঘর্ষ আফগানিস্তানের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সীমান্ত ফ্রন্টে সংঘটিত হয়। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওরাকজাই জেলার ঘিলজো এলাকায় তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তানি মাহমুদজাই পোস্টে হামলা চালায়। ওই সংঘর্ষে অন্তত ছয় পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

অন্যদিকে পাকিস্তানি বাহিনীর দাবি, পাল্টা অভিযানে তারা ১৫ থেকে ২০ জন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

এই ঘটনার পর আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুন করে জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার সীমান্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় ১২ জনেরও বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আফগান তালেবান মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইতোমধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর ৪টি সীমান্ত পোস্ট এবং ৬টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালের দিকে কুররম সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে যৌথভাবে হামলা চালায় আফগানিস্তানের সেনাবাহনী এবং পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

হামলার জবাবে পালটা হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ সময় আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সীমান্ত পোস্ট এবং একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়, সঙ্গে নিহত হন টিটিপির এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কুররম সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের খোস্ট প্রদেশের শামশাদ সেনাপোস্ট ধ্বংস করেন পাকিস্তানের সেনারা। এ সময় সেই পোস্টে থাকা আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক জন নিহত ও আহত হন, বাকিরা পালিয়ে যান।

শামশাদ পোস্ট ধ্বংস করার পর একই প্রদেশের অপর সেনা পোস্ট নার্গসার ধ্বংস করে পাকিস্তান। এই পোস্টটিতে ট্যাংক মোতায়েন করেছিল আফগান সেনারা। পাক সেনা সূত্রে জানা গেছে, নার্গসার পোস্টে অন্তত ৪টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে।

এরপর সীমান্তের ওপারে আফগান সেনাবাহিনীর তুর্কমানজাই, পোলসেন সেনাপোস্ট ধ্বংস করে পাকিস্তানি সেনারা। তুর্কমানজাই পোস্টে ষষ্ঠ ট্যাংকটি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পোলসেন পোস্টের কাছে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেটিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র।

সংঘাতে আফগানিস্তানের এই চার পোস্টে বেশ কয়েক জন আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলার সময় টিকতে না পেরে সেনা পোস্ট থেকে পালিয়ে গেছেন জীবিত আফগান সেনারা। একটি পোস্টে সেনারা পালানোর আগে আত্মসমর্পণজ্ঞাপক সাদা পতাকাও তুলেছিলেন।

এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখে আফগানিস্তানের পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর, কুররম, দির, চিত্রাল, বারামচাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় আফগান সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও প্রস্তুত হয়ে ছিল। আফগানিস্তানের হামলার পরপরই পালটা জবাব দেওয়া শুরু করে পাকিস্তান। সেই সংঘাতে ২ শতাধিক আফগান সেনা এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)।

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবানের (টিটিপি) প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদসহ তার কয়েকজন সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইফুল্লাহ মেসুদকে টিটিপির পরবর্তী প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

১১ অক্টোবরের হামলার কারণ হিসেবে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বলেছিল, ৯ অক্টোবর বিমান হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। সেই হামলার জবাব দিতে ১১ অক্টোবর হামলা চালিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী।

মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী। এর ফলে প্রাণহানি ঘটে।