বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

ইতিহাসে নবাব ঈশা খাঁর ঐতিহ্যের টানাপোড়েন

কিশোরগঞ্জসহ ৪ জেলা নিয়ে বিভাগ গঠনের দাবি

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
কিশোরগঞ্জসহ ৪ জেলা নিয়ে বিভাগ গঠনের দাবি

কিশোরগঞ্জকে ময়মনসিংহ বিভাগের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবের পর নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে দেশের মধ্যাঞ্চলে। কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ—এই চার জেলার মানুষ এখন এক স্বতন্ত্র প্রশাসনিক অঞ্চল গঠনের দাবি তুলেছেন, যার নাম হতে পারে ‘প্রেসিডেন্সি বিভাগ’।

স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনিক প্রয়োজনের পাশাপাশি এই দাবির পেছনে রয়েছে গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি। তাদের মতে, বাংলার ইতিহাসে নবাব ঈশা খাঁ ছিলেন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার প্রতীক ও বারো ভুঁইয়াদের নেতা, যিনি মোগল শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন শক্তিশালী প্রতিরোধ।

ঈশা খাঁর রাজধানী ছিল সোনারগাঁও ও জয়নগর—যা বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। তার শাসন ও সামরিক প্রভাব বিস্তৃত ছিল নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ পর্যন্ত। সে সময় এই অঞ্চল গড়ে উঠেছিল এক অদম্য প্রতিরোধ বলয় হিসেবে, যেখানে নদীপথের গতিশীল যোগাযোগই ছিল তার সামরিক শক্তির অন্যতম উৎস।

ইতিহাসবিদদের মতে, নরসিংদীর শীতলক্ষ্যা-মেঘনা, কিশোরগঞ্জের বিশাল হাওর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও হবিগঞ্জের পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি একত্রে ঈশা খাঁর শাসনব্যবস্থাকে দিয়েছে ভৌগোলিক নিরাপত্তা ও প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু।

আজও এই চার জেলার মানুষ ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি ও জীবনধারায় একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। স্থানীয়রা মনে করছেন, কেবল প্রশাসনিক নয়—ঐতিহাসিক ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক হিসেবেও ‘প্রেসিডেন্সি বিভাগ’ গঠন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—ফেকামারা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম বিপ্লব, ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুন্সী আ. হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালাহ উদ্দিন ভুঁইয়া সবুজ, কটিয়াদী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ফকির, লোহাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মো. আনোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সহসভাপতি সৈয়দ আলিউজ্জামান মহসিন এবং এনসিপির জেলা সহসভাপতি কাওছার আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষক সমাজ দেশের বিবেক। তাদের ওপর হামলা জাতির সম্মানহানির সামিল। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কটিয়াদী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।

কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে এক নারীসহ পাঁচজন মাদক কারবারি ও মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লা ও চান্দপুর ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—কামারকোনা মহল্লার মো. ফালু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৩৯), মো. আবুল কালাম (২৫), মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রুস্তম আলী (৪৬), মৃত আব্দুস ছোবহানের মেয়ে মোছা. ফাতেমা খাতুন (৫২) এবং শেখেরপাড়া গ্রামের জয়নাল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (৪৪)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন।
রায়ের বিবরণী অনুযায়ী—

  • মো. ফারুক মিয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. আবুল কালামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুস্তম আলীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মোছা. ফাতেমা খাতুনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুবেলকে সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের পরোয়ানামূলে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কটিয়াদী থানা পুলিশ।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে একজন নারীসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

আজ (১৪ অক্টোবর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট। কোম্পানিটি জানিয়েছে, আজকের পর থেকে ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স বা কাস্টমার সার্ভিস পাবেন না। যদিও কম্পিউটার চালু থাকবে, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে উন্মোচিত উইন্ডোজ ১০ প্রথমে তেমন জনপ্রিয় না হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যবহৃত ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেসের কারণে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী এখনো এই সংস্করণে অভ্যস্ত।

মাইক্রোসফট জানায়, যাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১–এর জন্য উপযুক্ত, তারা নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করলে নিরাপত্তা, হার্ডওয়্যার সাপোর্ট ও এআই সুবিধা পাবেন। তবে পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য Extended Security Updates (ESU) প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমিত নিরাপত্তা আপডেট নিতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ১০ ডেস্কটপ যুগ থেকে ক্লাউড-নির্ভর প্রযুক্তিতে রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।