সুবর্ণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও সেবায় বিশেষ উদ্যোগের ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
কিশোরগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা বলেছেন, সুবর্ণ নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব অফিসে সুবর্ণ নাগরিকদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে সেখানে র্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যাতে হুইলচেয়ারে থাকা ব্যক্তিরাও সহজে সেবা নিতে পারেন।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা আরও বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছে। তার বিভাগ ও দপ্তরের দায়িত্ব হলো এই সেবাগুলো সুবর্ণ নাগরিকদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
সভায় জানানো হয়, কিশোরগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ১২ ক্যাটাগরিতে ৮৩ হাজার ১৬৬ জন সুবর্ণ নাগরিক রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় ও হাসপাতাল পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সমাজসেবার কর্মকর্তারাও নিয়মিত তাদের সেবা নিশ্চিত করছেন।
এর আগে কিশোরগঞ্জ সরকারি বালিকা সদনে সমবেত হয়ে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, সিভিল সার্জন ডা. অভিজিৎ শর্মা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, সমাজসেবার উপপরিচালক কামরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শরীফুল হক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. দীদারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. দ্বীন ইসলাম নয়ন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মিটুন চক্রবর্তী। সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক শাহ নাজ পারভীন, রেজিস্ট্রেশন অফিসার মহসীন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুর রহমান মনির, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী সাফরিনা জান্নাত, প্রতিবন্ধী নেতা ইবরাহীম, শুকতারা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি রেজাউল হাসনাত নাহিদসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়; তারা সমাজের সম্পদ। তাদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পরে কিশোরগঞ্জ প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা কার্যালয়, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নানা পেশার প্রতিবন্ধীরা উপস্থিত ছিলেন।










