বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

নড়াইলে ভ্যানচালক কিশোর আলিফ হত্যার রহস্য উন্মোচন, দুই যুবক গ্রেপ্তার

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক কিশোর আমিনুল বিশ্বাস ওরফে আলিফ (১৫) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম।

গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন সদর উপজেলার চাচড়া গ্রামের মিনারুল বিশ্বাস (২২) ও একই গ্রামের হৃদয় মোল্যা (২০)। নিহত আলিফ ছোট মিতনা গ্রামের কিনায়েত বিশ্বাসের ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে আলিফকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় মিনারুল ও হৃদয়। উদ্দেশ্য ছিল আলিফের ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনিয়ে নেওয়া। তারা ওই রাতে আঞ্চলিক সড়কে ঘুরতে ঘুরতে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আলিফকে পান করায়। কিছুক্ষণ পর আলিফ অচেতন হলে তারা ভ্যানটি বাহিরগ্রাম বাজারে নিয়ে গিয়ে হৃদয়ের মামার বাড়িতে রেখে আসে।

পরে তিনজন পায়ে হেঁটে দেবভোগ এলাকার নুড়িতলা বিলে পৌঁছায়। সেখানে আলিফ ঘুমিয়ে পড়লে হৃদয় তার পা চেপে ধরে রাখে এবং মিনারুল গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আলিফের মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে মরদেহ পাশের পুকুরে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখে তারা।

রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যার পর দুজন হৃদয়ের মামার বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের আজানের সময় অনুশোচনায় তারা স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং সকালে বাজারে গিয়ে চা-পান করে। পরে মিনারুল নিজ এলাকায় ফিরে আসে, আর হৃদয় পালিয়ে গোপালগঞ্জে যায়।

আলিফ নিখোঁজের ঘটনায় তার মা রোববার (৫ অক্টোবর) সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন সন্দেহভাজন হিসেবে মিনারুলকে আটক করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং মরদেহের অবস্থান জানায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দেবভোগের নুড়িতলা বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করে। শহরের মুচির পোল এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বিক্রিত ভ্যানের ব্যাটারি, এবং হৃদয়ের মামার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ভ্যানটি।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আলিফের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসানের আদালতে দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তারা আদালতে জানান, সামান্য কিছু টাকার জন্যই তারা আলিফকে হত্যা করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই আলম সিদ্দিকী, সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—ফেকামারা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম বিপ্লব, ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুন্সী আ. হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালাহ উদ্দিন ভুঁইয়া সবুজ, কটিয়াদী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ফকির, লোহাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মো. আনোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সহসভাপতি সৈয়দ আলিউজ্জামান মহসিন এবং এনসিপির জেলা সহসভাপতি কাওছার আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষক সমাজ দেশের বিবেক। তাদের ওপর হামলা জাতির সম্মানহানির সামিল। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কটিয়াদী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।

কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে এক নারীসহ পাঁচজন মাদক কারবারি ও মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লা ও চান্দপুর ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—কামারকোনা মহল্লার মো. ফালু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৩৯), মো. আবুল কালাম (২৫), মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রুস্তম আলী (৪৬), মৃত আব্দুস ছোবহানের মেয়ে মোছা. ফাতেমা খাতুন (৫২) এবং শেখেরপাড়া গ্রামের জয়নাল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (৪৪)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন।
রায়ের বিবরণী অনুযায়ী—

  • মো. ফারুক মিয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. আবুল কালামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুস্তম আলীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মোছা. ফাতেমা খাতুনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুবেলকে সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের পরোয়ানামূলে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কটিয়াদী থানা পুলিশ।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে একজন নারীসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

আজ (১৪ অক্টোবর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট। কোম্পানিটি জানিয়েছে, আজকের পর থেকে ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স বা কাস্টমার সার্ভিস পাবেন না। যদিও কম্পিউটার চালু থাকবে, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে উন্মোচিত উইন্ডোজ ১০ প্রথমে তেমন জনপ্রিয় না হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যবহৃত ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেসের কারণে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী এখনো এই সংস্করণে অভ্যস্ত।

মাইক্রোসফট জানায়, যাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১–এর জন্য উপযুক্ত, তারা নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করলে নিরাপত্তা, হার্ডওয়্যার সাপোর্ট ও এআই সুবিধা পাবেন। তবে পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য Extended Security Updates (ESU) প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমিত নিরাপত্তা আপডেট নিতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ১০ ডেস্কটপ যুগ থেকে ক্লাউড-নির্ভর প্রযুক্তিতে রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।