গাজায় ক্ষমতা না ছাড়লে হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার হুমকি ট্রাম্পের

গাজার সংঘাত বন্ধে প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করলে হামাসকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (৪ অক্টোবর) সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক টেপারের পাঠানো বার্তার জবাবে ট্রাম্প এই সতর্কবার্তা দেন।
ট্রাম্প বলেন, “যদি হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে এবং নিরস্ত্রীকরণের শর্তে রাজি না হয়, তাহলে তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হবে।” সাংবাদিক টেপারের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই জানতে পারব, হামাস সত্যিই শান্তির পথে আগ্রহী কি না—সময়ই সব বলবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, “হ্যাঁ, বিবির সঙ্গে আছি।” তিনি দাবি করেন, তাঁর নেতৃত্বে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে এবং শিগগিরই তা কার্যকর হবে।
ট্রাম্প আরও জানান, ইসরায়েল ইতিমধ্যে গাজায় বিমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে—যা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে “গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে একই দিনে সিএনএন জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্পের দাবি, ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের শর্ত মেনে নিয়েছে। “হামাস সম্মতি জানালেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এরপর বন্দী ও কয়েদি বিনিময় এবং ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে,” বলেন তিনি।
এর আগের দিন ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, হামাস তাঁর ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিনি দিনটিকে “ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব” বলে আখ্যা দেন।
ইসরায়েলও ঘোষণা করেছে, তারা এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে। ওয়াশিংটন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে প্রস্তাবটির প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের সময়সূচি ও গাজার অবকাঠামোগত বিপর্যয়সহ নানা বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় সহিংসতা কমার কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও স্থায়ী শান্তির কোনো নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতো এবারও চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর পুনরায় সংঘাত শুরুর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।