বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

উমরা পালনের আগে যে বিষয়গুলো ভাবা জরুরি

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০১ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
উমরা পালনের আগে যে বিষয়গুলো ভাবা জরুরি

উমরা ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। এর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়। প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মুসলমানরা মক্কায় গিয়ে এই পবিত্র ইবাদতে অংশ নেন। তবে উমরার মতো আত্মিক সফরে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তা ও প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

নিয়ত শুদ্ধ করা:
উমরার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা। কোরআনে বলা হয়েছে, “তাদেরকে আদেশই করা হয়েছিল যে তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে, তার প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে।” (সূরা আল-বায়্যিনাহ: ৫)।
অতএব, উমরা করার উদ্দেশ্য যেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়—খ্যাতি বা সামাজিক স্বীকৃতির জন্য নয়।

ক্ষমা প্রার্থনা:
নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হজ বা উমরা করল এবং কোনো অশ্লীল কথা বা গুনাহর কাজে লিপ্ত হলো না, সে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।” (সহিহ বোখারি: ১৫২১)।
উমরার আগে আত্মসমালোচনায় মনোযোগ দিন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করার মনোভাব তৈরি করুন।

প্রতিটি আমলের তাৎপর্য অনুধাবন করা:
ইহরাম পরা, কাবা তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ—সবকিছুরই গভীর অর্থ রয়েছে। যেমন হযরত হাজেরা (আ.)-এর অনুসরণে সাঈ করা আমাদের শেখায়, আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা কীভাবে জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।

মক্কা ও মদিনার মর্যাদা উপলব্ধি:
এই দুটি শহর শুধু ঐতিহাসিক স্থান নয়, ইসলামের আত্মা। কাবা হলো আল্লাহর ঘর, আর মদিনায় রয়েছে নবী করিম (সা.)-এর রওজা মোবারক। তাই সফরে সর্বোচ্চ বিনয় ও শ্রদ্ধা বজায় রাখা আবশ্যক।

ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা:
দীর্ঘ যাত্রা, ভিড়, গরম—সবকিছুই সফরের অংশ। এগুলো ধৈর্যধারণের পরীক্ষা, আর ধৈর্যও এক প্রকার ইবাদত। প্রতিটি কষ্ট গুনাহ মোচনের পথ খুলে দেয়।

দোয়া ও জিকিরে ব্যস্ত থাকা:
উমরার প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর স্মরণ ও দোয়া করুন—নিজ, পরিবার, উম্মাহ ও মানবতার কল্যাণে। এটি আল্লাহর রহমত পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

বিনয় ও কৃতজ্ঞতা:
উমরার সুযোগ পাওয়া মহান নেয়ামত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার কবর জিয়ারত করে, সে যেন আমার জীবিত অবস্থায় আমাকে সাক্ষাৎ করল।” (সহিহ বোখারি)।
এই সফরকে আল্লাহর অনুগ্রহ হিসেবে গ্রহণ করুন এবং জীবনের পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখুন।

আত্মিক পরিবর্তনের প্রস্তুতি:
উমরা শুধুই একটি ধর্মীয় সফর নয়—এটি আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করে। চেষ্টা করুন যেন এই সফর আপনাকে এক নতুন মানুষে রূপান্তরিত করে।

সকালবেলা/আর.এন

ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—ফেকামারা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম বিপ্লব, ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুন্সী আ. হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালাহ উদ্দিন ভুঁইয়া সবুজ, কটিয়াদী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ফকির, লোহাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মো. আনোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সহসভাপতি সৈয়দ আলিউজ্জামান মহসিন এবং এনসিপির জেলা সহসভাপতি কাওছার আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষক সমাজ দেশের বিবেক। তাদের ওপর হামলা জাতির সম্মানহানির সামিল। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কটিয়াদী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।

কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে এক নারীসহ পাঁচজন মাদক কারবারি ও মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লা ও চান্দপুর ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—কামারকোনা মহল্লার মো. ফালু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৩৯), মো. আবুল কালাম (২৫), মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রুস্তম আলী (৪৬), মৃত আব্দুস ছোবহানের মেয়ে মোছা. ফাতেমা খাতুন (৫২) এবং শেখেরপাড়া গ্রামের জয়নাল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (৪৪)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন।
রায়ের বিবরণী অনুযায়ী—

  • মো. ফারুক মিয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. আবুল কালামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুস্তম আলীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মোছা. ফাতেমা খাতুনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুবেলকে সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের পরোয়ানামূলে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কটিয়াদী থানা পুলিশ।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে একজন নারীসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

আজ (১৪ অক্টোবর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট। কোম্পানিটি জানিয়েছে, আজকের পর থেকে ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স বা কাস্টমার সার্ভিস পাবেন না। যদিও কম্পিউটার চালু থাকবে, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে উন্মোচিত উইন্ডোজ ১০ প্রথমে তেমন জনপ্রিয় না হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যবহৃত ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেসের কারণে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী এখনো এই সংস্করণে অভ্যস্ত।

মাইক্রোসফট জানায়, যাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১–এর জন্য উপযুক্ত, তারা নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করলে নিরাপত্তা, হার্ডওয়্যার সাপোর্ট ও এআই সুবিধা পাবেন। তবে পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য Extended Security Updates (ESU) প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমিত নিরাপত্তা আপডেট নিতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ১০ ডেস্কটপ যুগ থেকে ক্লাউড-নির্ভর প্রযুক্তিতে রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।