শহিদুল আলমসহ আটক অধিকারকর্মীদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেয়া হয়েছে

ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেয়া হয়েছে বাংলাদেশি আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ গাজাগামী জাহাজবহর থেকে আটক অধিকারকর্মীদের। দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার আটটি জাহাজ আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এতে প্রায় দেড়শো স্বেচ্ছাসেবীকে আটক করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বর্তমানে সবাই “সুস্থ আছেন” এবং দ্রুত তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এই বহরের ‘কনশানস’ নামের জাহাজে ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এখন তিনি অন্যান্য মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে আটক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) আয়োজিত নয়টি জাহাজের এই বহরটি দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল, গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য চিকিৎসা ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া। নৌবহরটিতে চিকিৎসক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক অংশ নিয়েছিলেন।
ফ্লোটিলা সংগঠকরা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, “আমাদের জাহাজে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে, আটটি নৌযান অবৈধভাবে আটক ও ছিনতাই করা হয়েছে।”
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে “সমুদ্র ডাকাতি ও আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন” বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটি জানায়, নৌবহরে তুর্কি সংসদ সদস্য ও নাগরিকও ছিলেন। প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, “ইসরায়েল এখন হিটলারের চেয়েও ভয়াবহভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবরোধ জারি রেখেছে। গত দুই বছরে এই অবরোধ আরও কঠোর করে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। চলমান হামলায় ইতিমধ্যে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো শহিদুল আলমসহ আটক কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দাবি করেছে।