বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

বেফাঁস কথা বলে বিএনপি নেতা সান্টু আবারও আলোচনায়

‘নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে আমি তাদের করতে দিছি’

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
‘নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে আমি তাদের করতে দিছি’

বরিশালের উজিরপুরে বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন সান্টুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা গত এক বছর ধরে চাঁদাবাজি করেছেন এবং তিনি নিজে তাদের ‘করতে দিয়েছেন’।

ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়— “গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা আমি তাদের করতে দিছি। কারণ গত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা কিছু খায় নাই। অবস্থা কিন্তু ভালো না। দল ক্ষমতায় না এলে কিছু পাবেন না।”

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর বরিশাল-২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বিষয়টি দলীয় ভাবমূর্তির জন্য বিব্রতকর বলেও মন্তব্য করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের পর একটি মতবিনিময় সভায় সরদার সরফুদ্দিন সান্টু এই বক্তব্য দেন। সভাটি উজিরপুরের গুঠিয়া এলাকার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টার। তিনি বলেন, “সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সান্টু ভাই এমন মন্তব্য করেছিলেন। আমার মনে হয়, এটি মুখ ফসকে বলা কথা।”

তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা দাবি করেন, “ভিডিওটি হয়তো সম্পাদনা করে ছড়ানো হয়েছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না এটি কোন সভার।”

অন্যদিকে একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, “ভিডিওটি সম্পাদিত নয়। তিনি (সান্টু) একের পর এক বেফাঁস কথা বলে দলকে বিব্রত করছেন।”

সান্টুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সান্টু দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার পর গত বছর দেশে ফেরেন। এরপর থেকে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় একাংশের সঙ্গে তাঁর বিরোধও রয়েছে।

এর আগে একাধিক অনুষ্ঠানে দলীয় শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় সান্টু ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আলোচিত হয়েছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগমুহূর্তে এ ধরনের বক্তব্য শুধু দলের জন্য নয়, বরিশাল অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
ঢাকায় শিক্ষকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—ফেকামারা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম বিপ্লব, ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুন্সী আ. হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালাহ উদ্দিন ভুঁইয়া সবুজ, কটিয়াদী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ফকির, লোহাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মো. আনোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সহসভাপতি সৈয়দ আলিউজ্জামান মহসিন এবং এনসিপির জেলা সহসভাপতি কাওছার আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষক সমাজ দেশের বিবেক। তাদের ওপর হামলা জাতির সম্মানহানির সামিল। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কটিয়াদী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।

কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে এক নারীসহ পাঁচজন মাদক কারবারি ও মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লা ও চান্দপুর ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—কামারকোনা মহল্লার মো. ফালু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৩৯), মো. আবুল কালাম (২৫), মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রুস্তম আলী (৪৬), মৃত আব্দুস ছোবহানের মেয়ে মোছা. ফাতেমা খাতুন (৫২) এবং শেখেরপাড়া গ্রামের জয়নাল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (৪৪)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন।
রায়ের বিবরণী অনুযায়ী—

  • মো. ফারুক মিয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. আবুল কালামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুস্তম আলীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মোছা. ফাতেমা খাতুনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড,
  • মো. রুবেলকে সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের পরোয়ানামূলে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কটিয়াদী থানা পুলিশ।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে একজন নারীসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট বন্ধ আজ থেকে

আজ (১৪ অক্টোবর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট। কোম্পানিটি জানিয়েছে, আজকের পর থেকে ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স বা কাস্টমার সার্ভিস পাবেন না। যদিও কম্পিউটার চালু থাকবে, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে উন্মোচিত উইন্ডোজ ১০ প্রথমে তেমন জনপ্রিয় না হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যবহৃত ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেসের কারণে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী এখনো এই সংস্করণে অভ্যস্ত।

মাইক্রোসফট জানায়, যাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১–এর জন্য উপযুক্ত, তারা নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করলে নিরাপত্তা, হার্ডওয়্যার সাপোর্ট ও এআই সুবিধা পাবেন। তবে পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য Extended Security Updates (ESU) প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমিত নিরাপত্তা আপডেট নিতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ১০ ডেস্কটপ যুগ থেকে ক্লাউড-নির্ভর প্রযুক্তিতে রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।