মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বেফাঁস কথা বলে বিএনপি নেতা সান্টু আবারও আলোচনায়

‘নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে আমি তাদের করতে দিছি’

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
‘নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে আমি তাদের করতে দিছি’

বরিশালের উজিরপুরে বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন সান্টুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা গত এক বছর ধরে চাঁদাবাজি করেছেন এবং তিনি নিজে তাদের ‘করতে দিয়েছেন’।

ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়— “গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা আমি তাদের করতে দিছি। কারণ গত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা কিছু খায় নাই। অবস্থা কিন্তু ভালো না। দল ক্ষমতায় না এলে কিছু পাবেন না।”

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর বরিশাল-২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বিষয়টি দলীয় ভাবমূর্তির জন্য বিব্রতকর বলেও মন্তব্য করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের পর একটি মতবিনিময় সভায় সরদার সরফুদ্দিন সান্টু এই বক্তব্য দেন। সভাটি উজিরপুরের গুঠিয়া এলাকার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টার। তিনি বলেন, “সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সান্টু ভাই এমন মন্তব্য করেছিলেন। আমার মনে হয়, এটি মুখ ফসকে বলা কথা।”

তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা দাবি করেন, “ভিডিওটি হয়তো সম্পাদনা করে ছড়ানো হয়েছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না এটি কোন সভার।”

অন্যদিকে একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, “ভিডিওটি সম্পাদিত নয়। তিনি (সান্টু) একের পর এক বেফাঁস কথা বলে দলকে বিব্রত করছেন।”

সান্টুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সান্টু দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার পর গত বছর দেশে ফেরেন। এরপর থেকে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় একাংশের সঙ্গে তাঁর বিরোধও রয়েছে।

এর আগে একাধিক অনুষ্ঠানে দলীয় শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় সান্টু ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আলোচিত হয়েছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগমুহূর্তে এ ধরনের বক্তব্য শুধু দলের জন্য নয়, বরিশাল অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

রেজাউল হক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বিচারকাজে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি আনন্দমিছিল বের হয়। মিছিলটি মিঠামইন বাজার থেকে কামালপুর গ্রামমুখী হলে ২০–৩০ জনের একটি দল মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘরে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর শিকদারসহ কয়েকজন। কামালপুরে পৌঁছে মিছিলের একটি অংশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, জানালা–দরজা, আলমারি ও বাইরের স্থাপনায় ভাঙচুর করে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ হামলা চালানো হয়। বসতঘরের দরজা–জানালা, আসবাবপত্র ও কয়েকটি ছবি ভাঙচুর হয়েছে। কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রেজাউল হক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সদরের রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সৌদি আরব প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী মোছাঃ রুমা আক্তার (৩৩)-এর ওপর রাস্তার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে অস্ত্রসহ আক্রমণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

মোছাঃ রুমা আক্তার জানান, স্বামী বিদেশে থাকায় কয়েকজন প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে খারাপ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আসছে। কিছুদিন ধরে চলাচলের এজমালি রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রুমার অভিযোগ—জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা অন্যায়ভাবে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং প্রতিদিনই চলাচলে বাধা দিচ্ছে।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে, রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিবেশী আলম (৪০), শাহ আলম (৩৫), সোহেল(২০), জুয়েল(২২) এবং আলমের স্ত্রী সাথী আক্তার (৩৪) লাঠিসোটা, দা ও লোহার রড নিয়ে তার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেবেন না বলে হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে আলম তার চুলের মুঠি ধরে টানা-হেঁচড়া করে, এতে তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে যায় এবং তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। শাহ আলম কিল-ঘুষি মারেন বলে রুমা অভিযোগ করেন। এসময় সবাই মিলে দা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহির মেম্বারের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। রুমার অভিযোগ—প্রতিপক্ষরা লোকবল বেশি হওয়ায় এখনো হুমকি দিচ্ছে যে, রাস্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে পরিবারের লোকজনসহ খুন করে গুম করে ফেলবে

ঘটনার বিষয়ে মোছাঃ রুমা আক্তার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

রুমা আক্তার জানান—
তিনি মোট ৩ জন সন্তান—২ মেয়ে ও ১ ছেলে—সহ ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন—
অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তকাজ চলছে।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১০ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে