মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সারজিসের সভা চলাকালে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
সারজিসের সভা চলাকালে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে সমন্বয় সভা চলাকালে অডিটোরিয়ামের নিচতলায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকালে শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম এ হামলার জন্য ফ্যাসিস্টদের দায়ী করেন ও সরকারের কাছে ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আস্ফালন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, এনসিপির অনুষ্ঠানের বাইরে ককটেলসদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বগুড়া জেলা এনসিপির সংগঠক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও প্রত্যক্ষদর্শী অন্যরা জানান, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম সোমবার জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষে বিকাল ৩টার দিকে বগুড়ায় আসেন। তিনি ফিতা কেটে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠসংলগ্ন এলাকায় বগুড়া জেলা শাখা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সারজিস আলম বলেন, বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে জোট সরকার ছিল, জামায়াত কখনই এর পূর্বে শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি এককভাবে কেউ শক্তিশালী নয়, আপাতদৃষ্টিতে যা দেখা যায় আর মাঠের বাস্তবতা পার্থক্য আছে।

তিনি বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এ জায়গায় এনসিপির শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব রাজপথে যেমন লাগবে, সংসদেও প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে কাজ করছি।

সারজিস আলম আরও বলেন, আগামীর সংসদে তরুণরা যদি প্রতিনিধিত্ব করতে না পারে তাহলে গতানুগতিক কালচার পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, খুনিদের বিচারের জন্য কাজ করবে তাদের সঙ্গে এনসিপি কাজ করবে। সংসদ বা নির্বাচন কেন্দ্রীয় কাজ সীমাবদ্ধ থাকবে না। দেশের মানুষদের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সংস্কার ও বিচারের জন্য এনসিপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, আগামীতেও করবে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও আইনগত ভিত্তির প্রশ্নে সকলে একপথে গেলেও এনসিপি সেই স্রোতে গা ভাসায়নি। এনসিপি জনগণের প্রশ্নে আপসহীন থেকে সনদের আইনগত ভিত্তির নিশ্চয়তা চেয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চয়তা না পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত জুলাই সনদে স্বাক্ষর থাকবে না।

এরপর তিনি বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংগঠনের জেলা সমন্বয় সভায় যোগদান করেন। সারজিস আলম সাংগঠনিক বক্তব্য দেয়া শুরুর কিছুক্ষণ পর জেলা পরিষদের পেছনে করতোয়া নদীর পাশ থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেল দুটি অডিটোরিয়ামের নিচে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে পড়ে। প্রথমটি অবিস্ফোরিত হলেও দ্বিতীয়টি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন। তারা অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করেন।

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এনসিপির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্বিক মাহদী ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন।

বক্তারা বলেন, ককটেল মেরে, হামলা, মামলা করে এনসিপির কর্মকাণ্ড থামানো যাবে না। তারা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, এটা তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হলেও প্রশাসন তাদের কোনো নিরাপত্তা দেয়নি। প্রশাসনের অনীহার কারণেই ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা এ ককটেল হামলা চালিয়েছে। আমাদের শরীরে জুলাইয়ের রক্ত আছে তাই আমরা এ হামলায় ভিত নই। বক্তব্যরা অবিলম্বে এ ককটেল হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ককটেল হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, এ হামলা ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আস্ফালন বন্ধের দাবি জানান।

সারজিস আলম বলেন, এনসিপি অনেক বড় সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কোনো জেলা বা উপজেলায় তাদের ভালো নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। আবার কোথাও কোথাও গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছে।

তিনি প্রশাসনের লোকজনকে কোন দলের লোক না হতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ২৪ পরবর্তীতে বাংলাদেশে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। নানা কারণে আগে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সম্মান বিঘ্নিত হয়। তাদের মধ্যে অনেকে ফ্যাসিস্টদের তথ্য দিয়ে ও নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এমনটা করলে ভবিষ্যতে তাদের অস্তিত্ব থাকবেন না। এতে জনগণ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা মনে করি এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ ও জনগণ একটা অস্থিতিশীল শঙ্কার দিকে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান করছি। এখানে যারা জড়িত তাদের মুখোশ, পরিচয় উন্মোচন করতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, জেলা পরিষদ চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের একাধিক দল তদন্তে কাজ করছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কিশোরগঞ্জে পাটজাত পণ্য তৈরিতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

রেজাউল হক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জে পাটজাত পণ্য তৈরিতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে পাটজাত পণ্য তৈরির ওপর সপ্তাহব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারত্বের অগ্রগতি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের আওতায় ১৬ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত হাতে–কলমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব জ্ঞান অর্জন করবেন।

গত ১৬ নভেম্বর ২০২৫ (রবিবার) বেলা ১২টার দিকে সংযোগ যুব গণপাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব, যশোদল, কিশোরগঞ্জে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বাকার সিদ্দিক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাহ মো. সারওয়ার

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন। প্রশিক্ষক আফরিন রহমান তুলি বক্তব্য প্রদান করেন।

এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে তসলিমা আক্তার, লিপি রাণী ও সাব্বির মো. রবিন বক্তব্য দেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সরকারি সনদ প্রদান করা হবে।

মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

রেজাউল হক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বিচারকাজে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি আনন্দমিছিল বের হয়। মিছিলটি মিঠামইন বাজার থেকে কামালপুর গ্রামমুখী হলে ২০–৩০ জনের একটি দল মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘরে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর শিকদারসহ কয়েকজন। কামালপুরে পৌঁছে মিছিলের একটি অংশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, জানালা–দরজা, আলমারি ও বাইরের স্থাপনায় ভাঙচুর করে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ হামলা চালানো হয়। বসতঘরের দরজা–জানালা, আসবাবপত্র ও কয়েকটি ছবি ভাঙচুর হয়েছে। কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রেজাউল হক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সদরের রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সৌদি আরব প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী মোছাঃ রুমা আক্তার (৩৩)-এর ওপর রাস্তার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে অস্ত্রসহ আক্রমণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

মোছাঃ রুমা আক্তার জানান, স্বামী বিদেশে থাকায় কয়েকজন প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে খারাপ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আসছে। কিছুদিন ধরে চলাচলের এজমালি রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রুমার অভিযোগ—জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা অন্যায়ভাবে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং প্রতিদিনই চলাচলে বাধা দিচ্ছে।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে, রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিবেশী আলম (৪০), শাহ আলম (৩৫), সোহেল(২০), জুয়েল(২২) এবং আলমের স্ত্রী সাথী আক্তার (৩৪) লাঠিসোটা, দা ও লোহার রড নিয়ে তার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেবেন না বলে হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে আলম তার চুলের মুঠি ধরে টানা-হেঁচড়া করে, এতে তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে যায় এবং তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। শাহ আলম কিল-ঘুষি মারেন বলে রুমা অভিযোগ করেন। এসময় সবাই মিলে দা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহির মেম্বারের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। রুমার অভিযোগ—প্রতিপক্ষরা লোকবল বেশি হওয়ায় এখনো হুমকি দিচ্ছে যে, রাস্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে পরিবারের লোকজনসহ খুন করে গুম করে ফেলবে

ঘটনার বিষয়ে মোছাঃ রুমা আক্তার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

রুমা আক্তার জানান—
তিনি মোট ৩ জন সন্তান—২ মেয়ে ও ১ ছেলে—সহ ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন—
অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তকাজ চলছে।