বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

প্রশাসনে পক্ষপাতের অভিযোগ

সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির অভিযোগ, সরকারের কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য ও কার্যক্রমে নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল ও পদায়নে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে নেতারা মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের এখনই এমন আচরণ ও পদক্ষেপ নিতে হবে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ চরিত্রের অনুরূপ হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরার পর বিএনপি নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যেখানে প্রশাসনিক রদবদল, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল এবং নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে দলের উদ্বেগ জানানো হবে।

প্রশাসনে পক্ষপাতের অভিযোগ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা গণমাধ্যমকে জানান, প্রশাসনে রদবদল ও পদায়নে কিছু উপদেষ্টা “বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে” কাজ করছেন। তিনি দাবি করেন, মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা তৈরিতে জামায়াতপন্থি কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে—যার প্রমাণ দলটির কাছে রয়েছে।

নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। বিএনপি মনে করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের আস্থা অর্জনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দৃশ্যমান নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করা।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল নিয়ে উদ্বেগ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। এতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুতের কথা বলা হয়।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, এই তালিকা প্রণয়নে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এজন্য তারা ইসিকে সতর্কভাবে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রশাসনিক রদবদল নিয়েও প্রশ্ন

বৈঠকে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর প্রশাসনে যেসব রদবদল হয়েছে, সেখানে পূর্ববর্তী সরকারের সময়ের কিছু কর্মকর্তা ও নতুন করে একটি দলের ঘনিষ্ঠদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। নেতাদের মতে, এটি প্রশাসনের নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর বিষয়ে সিদ্ধান্ত

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি “জুলাই সনদ”-এ স্বাক্ষর করবে। তবে দলটি আগে সনদের চূড়ান্ত খসড়া বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করবে।
আগামী ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সালাহউদ্দিন আহমদ দলের পক্ষে স্বাক্ষর করবেন বলে জানা গেছে।

প্রচারণা জোরদার ও অপপ্রচার মোকাবিলা

নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে বিএনপির প্রচারণা কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে বলে বৈঠকে স্বীকার করা হয়। এজন্য দলের মিডিয়া সেল ও কমিউনিকেশন টিমকে আরও সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার মোকাবিলা ও নিজস্ব ন্যারেটিভ জোরদার করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির অভিমত

স্থায়ী কমিটির আলোচনায় নেতারা বলেন, কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, তারা সরকারের নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে বিএনপি চায় না—এতে জনমনে নতুন উদ্বেগ বা বিভাজন সৃষ্টি হোক।
নেতারা জোর দিয়ে বলেন,

“যেহেতু নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হওয়ার কথা, তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নিজেদেরকে নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো করে গড়ে তোলা—যাতে প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।”

পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান!

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান!

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ সংঘর্ষে পাকিস্তানি সেনাদের একটি ট্যাঙ্ক জব্দ করার দাবি করেছে তালেবান। বুধবার (১৫ অক্টোবর) আফগানিস্তানের কান্দাহারের স্পিন বোলদাক এলাকায় সংঘর্ষের পর এক ভিডিও প্রকাশ করে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই দাবি জানান।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের সড়কে তালেবান সদস্যরা একটি ট্যাঙ্ক চালাচ্ছে। মুজাহিদ দাবি করেন, পাকিস্তানি বাহিনী নতুন করে আফগান সীমান্তে হামলা চালায়, যাতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন।

তিনি আরও জানান, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তালেবানরা বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করে এবং তাদের পোস্ট, ট্যাঙ্ক ও অস্ত্র জব্দ করে।

তবে ভিডিওটির সত্যতা এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, তালেবানরা আসলেই ট্যাঙ্কটি জব্দ করেছে কি না বা ভিডিওতে প্রদর্শিত ট্যাঙ্কটি পাকিস্তানি বাহিনীর কিনা—তা নিশ্চিত নয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮ জানায়, বুধবারের এই সংঘর্ষ আফগানিস্তানের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সীমান্ত ফ্রন্টে সংঘটিত হয়। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওরাকজাই জেলার ঘিলজো এলাকায় তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তানি মাহমুদজাই পোস্টে হামলা চালায়। ওই সংঘর্ষে অন্তত ছয় পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

অন্যদিকে পাকিস্তানি বাহিনীর দাবি, পাল্টা অভিযানে তারা ১৫ থেকে ২০ জন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

এই ঘটনার পর আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুন করে জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার সীমান্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় ১২ জনেরও বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আফগান তালেবান মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইতোমধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর ৪টি সীমান্ত পোস্ট এবং ৬টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালের দিকে কুররম সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে যৌথভাবে হামলা চালায় আফগানিস্তানের সেনাবাহনী এবং পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

হামলার জবাবে পালটা হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ সময় আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সীমান্ত পোস্ট এবং একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়, সঙ্গে নিহত হন টিটিপির এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কুররম সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের খোস্ট প্রদেশের শামশাদ সেনাপোস্ট ধ্বংস করেন পাকিস্তানের সেনারা। এ সময় সেই পোস্টে থাকা আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক জন নিহত ও আহত হন, বাকিরা পালিয়ে যান।

শামশাদ পোস্ট ধ্বংস করার পর একই প্রদেশের অপর সেনা পোস্ট নার্গসার ধ্বংস করে পাকিস্তান। এই পোস্টটিতে ট্যাংক মোতায়েন করেছিল আফগান সেনারা। পাক সেনা সূত্রে জানা গেছে, নার্গসার পোস্টে অন্তত ৪টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে।

এরপর সীমান্তের ওপারে আফগান সেনাবাহিনীর তুর্কমানজাই, পোলসেন সেনাপোস্ট ধ্বংস করে পাকিস্তানি সেনারা। তুর্কমানজাই পোস্টে ষষ্ঠ ট্যাংকটি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পোলসেন পোস্টের কাছে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেটিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র।

সংঘাতে আফগানিস্তানের এই চার পোস্টে বেশ কয়েক জন আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলার সময় টিকতে না পেরে সেনা পোস্ট থেকে পালিয়ে গেছেন জীবিত আফগান সেনারা। একটি পোস্টে সেনারা পালানোর আগে আত্মসমর্পণজ্ঞাপক সাদা পতাকাও তুলেছিলেন।

এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখে আফগানিস্তানের পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর, কুররম, দির, চিত্রাল, বারামচাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় আফগান সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও প্রস্তুত হয়ে ছিল। আফগানিস্তানের হামলার পরপরই পালটা জবাব দেওয়া শুরু করে পাকিস্তান। সেই সংঘাতে ২ শতাধিক আফগান সেনা এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)।

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবানের (টিটিপি) প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদসহ তার কয়েকজন সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইফুল্লাহ মেসুদকে টিটিপির পরবর্তী প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

১১ অক্টোবরের হামলার কারণ হিসেবে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বলেছিল, ৯ অক্টোবর বিমান হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। সেই হামলার জবাব দিতে ১১ অক্টোবর হামলা চালিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী।

মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী। এর ফলে প্রাণহানি ঘটে।