ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক শহিদুল আলম
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আটক হওয়ার ঠিক আগে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওবার্তা ও লাইভ সম্প্রচার করেন তিনি।
শেষ ভিডিওবার্তায় শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এই দেশ। আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের আহ্বান জানাচ্ছি—ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলার একটি নৌযানবহরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি জাহাজে আক্রমণ চালিয়ে তা আটক করে।
ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দ্য কনসায়েন্স’ নামের জাহাজটিতে শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। হামলার সময় জাহাজটির সঙ্গে থাকা তিনটি ছোট নৌকাতেও আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক বার্তায় ফ্লোটিলায় অভিযান চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “আইনি নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের দ্রুত নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে।”
শহিদুল আলমের পরিবার ও সহকর্মীরা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকারকর্মীরা তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।












